
অসম: কর্মসূত্রে পরিচয়, সেখান থেকে প্রেম। অবশেষে গত বছরের অক্টোবরেই মহাসমারোহে হয়েছিল বাগদান পর্ব। কিন্তু, যে মহিলার সঙ্গে বাগদান হয়, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই মহিলার হাতেই জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হন প্রেমিক। কথা হচ্ছে অসম পুলিশের ‘লেডি সিংঘম’ (Assam’s Lady Singham) জুনমণি রাভাকে নিয়ে। এবার গ্রেফতার হলেন তিনি নিজেই। তার নামেও রয়েছে জালিয়াতির অভিযোগ। এ খবর সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে অসমের প্রশাসনিক মহলে। দুই ঠিকাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঠিকাদারদের অভিযোগ, জুনমণির বাগদত্তা রানা পোগাগের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি হয়েছিল তাঁদের। যার নেপথ্যে ছিলেন জুমমণি নিজেই।
এ অভিযোগ জমা পড়া মাত্রই জুনমণিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। টানা দুদিন ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। ঠিকাদারদের দাবি, জালিয়াতিতে রানা যুক্ত থাকলেও তাঁর সঙ্গে সমানতালে মদত ছিল জুনমণিরও। ইতিমধ্যেই জুনমণিকে গ্রেফতারের পর আদালতেও তোলা হয়। মাজুলির ওই আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরই তাঁকে মাজুলি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ওনজিসিতে চাকরি দেওয়ার নামে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগ ওঠে রানার বিরুদ্ধে। যা নিয়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় অসমে।
এই অভিযোগ সামনে আসার পর গত ৫ মে তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁরই হবু স্ত্রী। রানার ব্যাগ থেকে ওনজিসির ভুয়ো সিল ও নথিপত্রও পাওয়া যায়। তারপরই তাঁকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করে অসম পুলিশ। সামনে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কিন্তু, যে প্রেমের জোয়ারে ভেসে মানুষ বারাবের ভুল পথে চলে যায় সেখানে একেবারে হবু বউয়ের হাতে হবু বরের গ্রেফতারিতে সাড়া পড়ে যায় নেট পাড়াতেও। অনেকই বলেন এই না হলে পুলিশ! কিন্তু, এবার যেন চোখ খুলছে সকলের। যে পুলিশের ন্যায়বোঝ, কর্তব্যপরায়নতা দেশে মুগ্ধ হচ্ছিল গোটা দেশ এবার তাঁর বিরুদ্ধেই প্রতারণের অভিযোগ ওঠায় নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা।