গুয়াহাটি: অসম পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত তিনি। তাঁর নাম জুনমনি রাভা। কিন্তু এই নামে তাঁকে কম লোকই চেনে। অসমে তিনি পরিচিত ‘লেডি সিংঘম’ বা ‘লেডি দাবাং’ নামে। ইতিমধ্যেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন এই পুলিশ অফিসার। মঙ্গলবার এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অসম পুলিশের ওই মহিলা অফিসার। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি করে যাওয়ার সময় এক লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অসমের কালিয়াবোর মহকুমা এলাকায় সারুভুগিয়া গ্রামে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর গাড়ি। এই মৃত্যু ঘিরেই দানা বেঁধেছে বেশ কিছু প্রশ্ন। ওই মহিলা পুলিশ অফিসারের বাড়ির লোকের অভিযোগ, দুর্ঘটনা নয়, ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে চিঠিও দিয়েছে মৃত অফিসারের পরিবার।
ঘটনা নিয়ে জাখালাবান্ধা থানার অফিসার ইন চার্জ পবন কালিটা বলেছেন, “রাত আড়াইটার সময় আমরা দুর্ঘটনার খবর পায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তাঁকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।” দুর্ঘটনার সময় ওই মহিলা পুলিশ অফিসার ইউনিফর্ম পরে ছিলেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জুনমনি রাভা নামে ওই মহিলা পুলিশ অফিসার মরিকোলং আউটপোস্টের দায়িত্বে ছিলেন। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খ্যাতি ছিল তাঁর। এমনকি দুর্নীতির অভিযোগ নিজের স্বামীকে গ্রেফতারও করেছিলেন তিনি। কর্মজীবনে বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য সাসপেন্ডও হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু হঠাৎ করেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর। ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও লরির চালক পলাতক।
কিন্তু মহিলা পুলিশ অফিসারের মৃত্যু ঘিরে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবারের লোকরা। তাদের দাবি, দুর্ঘটনায় নয়। ষড়যন্ত্র করে লরি চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। ঘটনা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে মৃত অফিসারের পরিবারের লোকেরা। বিষয়টি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে চিঠিও লিখেছে মৃতের পরিবার।