অযোধ্যা: রাম মন্দিরের পর এবার বৃহত্তম মসজিদ (Mosque) নির্মাণ শুরু হতে চলেছে অযোধ্যায় (Ayodhya)। এটাই সম্ভবত দেশের বৃহত্তম মসজিদ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে অযোধ্যার ধান্যিপুর গ্রামে এই মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণের শুরুতেই মসজিদের নকশা বদল করা হল। মধ্য প্রাচ্যের দেশের মসজিদের আদলে নকশা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দো-ইসলামিক সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন (IICF)-এর চেয়ারম্যান জুফর ফারুকি। মসজিদের নামকরণের ব্যাপারেও ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
IICF-এর চেয়ারম্যান জুফর ফারুকি জানান, পুনে-ভিত্তিক একজন স্থপতির তৈরি করা নতুন নকশাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগে এই মসজিদের নকশায় কোনও গম্বুজ ছিল না। নতুন নকশায় গম্বুজ রাখা হয়েছে। এছাড়া আগে এটির নকশা ভারতের মসজিদের আদলে ছিল, এবার সেই নকশায় বদল আনা হয়েছে। মধ্য প্রাচ্যের দেশের মসজিদের আদলেই দেশের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদটি নির্মিত হবে বলে ট্রাস্টি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে মুম্বইয়ে IICF-এর বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে সুন্নি, শিয়া-সহ মুসলিমদের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে মসজিদের নকশা-সহ নামকরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ট্রাস্টি চেয়ারম্যান জানান, ইসলাম ধর্মগুরু মহম্মদ বিন আবদুল্লাহের নামে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই মসজিদের আয়তন আগের প্রস্তাবিত আয়তনের বেশি হবে।
অযোধ্যার ধান্যিপুর গ্রামে ৫ একর জায়গার উপর নির্মিত এই মসজিদটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে সেখানে একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টি চেয়ারম্যান জুফর ফারুকি। এছাড়া মসজিদের ভিতর ৩০০ বেডের একটি দাতব্য ক্যানসার হাসপাতাল করা হবে বলেও জানান ফারুকি। তিনি জানান, এক প্রখ্যাত ওষুধ সংস্থার চেয়ারম্যান ডা. হাবিল খোরাকিওয়ালা দাতব্য হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা এবং চালানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অযোধ্যার যেখানে রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে ধান্যিপুর গ্রামে মসজিদটি নির্মাণ হবে।