অযোধ্যা: অযোধ্যায় রাম জন্মভূমিতে মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি মন্দিরটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বুধবারই শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কলকাতার মানুষরা অবশ্য মন্দির উদ্বোধনের আগেই, তার একটা ঝলক দেখতে পেয়েছেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে। তবে, আসল রাম মন্দির তৈরির কাজ কতট এগোল? জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবে তো? বৃহস্পতিবার রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে, নির্মীয়মাণ মন্দিরটির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেই ধরা পড়েছে মন্দিরের নির্মাণ কতটা সম্পূর্ণ হয়েছে।
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি প্রকাশ করে সঙ্গে লিখেছে, ‘৫০০ বছরের সংগ্রামের সমাপ্তি’। ভিডিয়োতে মন্দিরটির বিশালত্ব ধরা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, বিশাল মন্দিরের অধিকাংশ কাজই প্রায় শেষ। বলা যেতে পারে শেষ পর্বের ছোঁয়া দিচ্ছেন নির্মাণকর্মীরা। দেখা গিয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহটি প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। মন্দিরচির দেওয়াল জুড়ে দেখা গিয়েছে অপূর্ব খোদাই করা ভাষ্কর্য। দিনরাত এক করে মন্দির তৈরির শেষ পর্বের কাজ করে চলেছেন শ্রমিকরা। কোথাও চলছে মেঝে মসৃণ করার কাজ, কোথাও আবার ছেনি-হাতুড়ি নিয়ে দেওয়ালে সূক্ষ্ম খোদাইয়ের কাজ করছেন কোনও কর্মী। কাঠের বিশাল দরজাতেও রয়েছে অপূর্ব খোদাইকার্য। ৩০ সেকেন্ডের এই ছোট্ট ভিডিয়ো ভক্তদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিতে বাধ্য।
500 वर्षों के संघर्ष की परिणति pic.twitter.com/z5OTXivUFL
— Shri Ram Janmbhoomi Teerth Kshetra (@ShriRamTeerth) October 26, 2023
রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি মন্দিরে রামলালার অভিষেক হবে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই রাম মন্দিরের প্রথম তল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪০০০ সাধু এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রায় ২,৫০০ বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন।
বুধবার, রাম মন্দির ট্রাস্টের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সঙ্গে লেখেন, ‘জয় সিয়ারাম! আজ অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এক দিন। সম্প্রতি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্তারা আমার বাসভবনে এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা আমাকে শ্রীরাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে অযোধ্যায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। জীবদ্দশায় আমি যে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে পারছি, এটা আমার সৌভাগ্য।”