Baba Siddiqui: বাবা সিদ্দিকি খুনে পাকিস্তান যোগ! ড্রোনে করে পাঠানো হয় গ্লক, জিগানার মতো পিস্তল

Baba Siddiqui: তদন্তে উঠে এসেছে, তিনটি বিদেশি পিস্তল যেগুলি মুম্বইতে পাঠানো হয়েছিল, তা ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। ড্রোনের মাধ্যমে তা সরবরাহ করে হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে মুম্বইতে পাঠানো হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Baba Siddiqui: বাবা সিদ্দিকি খুনে পাকিস্তান যোগ! ড্রোনে করে পাঠানো হয় গ্লক, জিগানার মতো পিস্তল
বাবা সিদ্দিকি (ফাইল ছবি)Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Updated on: Oct 26, 2024 | 11:38 AM

কলকাতা: এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় এবার পাকিস্তান যোগ নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ। মহারাষ্ট্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা সিদ্দিকির। যে পিস্তল থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, সেই পিস্তলগুলি কি পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল? এমন সন্দেহের কথাই বলছেন মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ড্রোনে করে সেই সব পিস্তল ভারতে পাঠানো হয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। বিষয়টির তদন্ত করে দেখছেন আধিকারিকরা।

মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, শুট আউটে যে পিস্তলগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল তিনটি বিদেশি পিস্তল ও একটি দেশীয়। বিদেশি পিস্তলগুলির মধ্য়ে একটি অস্ট্রেলিয়ান গ্লক, দ্বিতীয়টি তুরস্কের তৈরি জিগানা ও তৃতীয়টি হল অস্ট্রেলিয়ান ব্রেটা।

তদন্তে উঠে এসেছে, তিনটি বিদেশি পিস্তল যেগুলি মুম্বইতে পাঠানো হয়েছিল, তা ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। ড্রোনের মাধ্যমে তা সরবরাহ করে হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে মুম্বইতে পাঠানো হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল, ভারতে তো বিদেশি পিস্তল নিষিদ্ধ, তাহলে এগুলো মুম্বইতে পৌঁছল কীভাবে?

এই খবরটিও পড়ুন

ক্রাইম ব্রাঞ্চের সন্দেহ, স্থানীয় পাকিস্তানি গ্যাং বা আইএসআই এই অস্ত্রগুলি বিষ্ণোই গ্যাংকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। যে দুই অভিযুক্ত পলাতক, তাদেরকে ধরতে পারলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

রাজস্থান ও পঞ্জাব পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে যে এই ধরনের অস্ত্র শুধুমাত্র ড্রোনের মাধ্যমেই পাঠানো সম্ভব। পুলিশ বর্তমানে এই মামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কে এই অস্ত্রগুলো সীমান্তের এপারে পাঠিয়েছিল, কার নির্দেশে সেগুলি পাঠানো হয়েছিল, হত্যার উদ্দেশ্য কী ছিল, সেগুলি জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

গত ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুন করা হয়। গভীর রাতে ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিস থেকে বেরিয়ে যখন তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।