মুম্বই: আরজি করের ঘটনা নিয়ে আন্দোলন বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা। এর আঁচ কলকাতা তথা বাংলা তো বটেই, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২০ অগস্ট), কিন্ডারগার্টেনের দুই ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বদলাপুর। বদলাপুর শহরের এক স্কুলে ওই দুই নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের এক পুরুষ পরিচারকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গত সপ্তাহে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তারপরও, এদিন হিংসাত্মক বিক্ষোভের সাক্ষী হল বদলাপুর।
এদিন সকালে স্কুলের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন স্কুলশিশুদের বিক্ষুব্ধ অভিভাবক এবং স্থানীয় নাগরিকরা। প্রচুর পরিমাণে মহিলা ছিলেন তাঁদের মধ্যে। তাঁরাই এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। এর পাশাপাশি সকাল সাড়ে আটটা থেকে বদলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেল অবরোধও করা হয়। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করাই যথেষ্ট নয়। ওই স্কুলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দিতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেয়। বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা স্কুলে ভাঙচুর চালায়। রেল অবরোধকে কেন্দ্র করে বদলাপুর রেলস্টেশনে ব্যাপক পাথর ছোড়াছুড়ি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ চলছিল। আচমকা কয়েকজন মহিলা-সহ বিক্ষোভকারীরা স্কুলে হামলা চালায়। স্কুলের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তারা স্কুলের জানালার কাচ, বেঞ্চ, দরজা-সহ বহু সম্পত্তি ভাংচুর করে। অন্যদিকে, রেলস্টেশনে অবরোধের ফলে স্থানীয় শাখায় ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। নিত্যযাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই অসুবিধার মুখে পড়েছিলেন। পুলিশ কর্মী এবং রেল কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন শেষ করার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতে হিতে বিপরীত হয়। কিছু আন্দোলনকারী পুলিশ ও রেলের বিভিন্ন কার্যালয় লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। আটকে থাকা ট্রেনগলির দিকেও পাথর ছোড়া হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা।
তবে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেলস্টেশনে আসেন সরকারী রেলওয়ে পুলিশ বা জিআরপি-র কমিশনার, রবীন্দ্র শিসভেও। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিও চালায় পুলিশ। আপাতত পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও, আবহাওয়া বেশ উত্তপ্ত।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)