দেবদেবীরা ‘অশ্লীল পজিশনে’ কেন? ‘কামসূত্র’ পুড়িয়ে হিন্দুত্ব রক্ষায় উদ্যোগী বজরং দল

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 30, 2021 | 10:00 PM

বিক্ষোভকারীদের দাবি, যেহেতু কামসূত্রের বইতে হিন্দু দেবদেবীদের অশ্লীল অবস্থান দেখানো হয়েছে, তাই সেই অবস্থা থেকে হিন্দুত্বকে রক্ষা করতে বই পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

দেবদেবীরা অশ্লীল পজিশনে কেন? কামসূত্র পুড়িয়ে হিন্দুত্ব রক্ষায় উদ্যোগী বজরং দল
ছবি-Twitter

Follow Us

আহমেদাবাদ: উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সদস্যদের নতুন কাণ্ড। এ বার গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের একটি বইয়ের দোকানে ঢুকে কামসূত্র বই টেনে বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিল তারা। গত শনিবার গুজরাট রাজ্যের সবচেয়ে বড় শহরে এই ঘটনাটি ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যেহেতু কামসূত্রের বইতে হিন্দু দেবদেবীদের অশ্লীল অবস্থান দেখানো হয়েছে, তাই সেই অবস্থা থেকে হিন্দুত্বকে রক্ষা করতে বই পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিতে প্রেম, ভালবাসা ও যৌনতার মতো বিষয়গুলি যে গ্রন্থের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তাই পরিচিত কামসূত্র হিসেবে। দার্শনিক মল্লনাগ বাৎস্যায়ন রচিত সংস্কৃত সাহিত্যের একটি বিরল সৃষ্টি এটি। এখানে যৌনতার সম্পর্কে যেমন বিশদ বর্ণনা রয়েছে, তেমনই যৌনতা উপভোগ করার জন্য আদর্শ কী কী অবস্থায় শরীরকে নিয়ে যাওয়া যায়, চলতি কথায় যাকে পজিশন বলা হয়ে থাকে, সেই বিষয়গুলির উল্লেখও নিখুঁতভাবে রয়েছে। ঠিক যেভাবে মধ্য প্রদেশের খাজুরাহো মন্দিরে গেলেও অসংখ্য এমন কারুকার্য দেখা যায় যেখানে কেবল নানা ধরনের অবস্থায় যৌনতাই প্রাধান্য পেয়েছে।

তবে বজরং দলের মতে, এই ধরনের শিল্প বা এমন প্রাচীন গ্রন্থকে বিক্রি করা আসলে হিন্দু দেবদেবীদের অপমান। যে কারণে কোনও ভাবেই শহরে এই বই বিক্রি করা যাবে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, শনিবার আচমকাই গেরুয়া বসনে একদল যুবক এসে দোকানে ঢোকে। এরপর একে একে কামসূত্রের বইগুলি বের করে। এরপর কিছুক্ষণ ক্যামেরার সামনে তাদের বক্তব্যের কথা তুলে ধরে ও কামসূত্রের কয়েকটি বই বাইরে নিয়ে যায়। সেখানে একের পর বই মাটিতে ফেলে তার উপর কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে যখন বইগুলি পুড়ছিল তখন উল্লসিত ভঙ্গিকে জয় শ্রী রাম ও হর হর মহাদেব স্লোগানও দেয় তারা। একই সঙ্গে রীতিমতো শাসানি দেওয়ার কায়দায় বলা হয়, এরপরও যদি ওই বই বিক্রি বন্ধ না হয়, তবে গোটা দোকানটাই আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। বজরং দলের সদস্যদের এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই ভয়ে কার্যত কাঁটা হয়ে রয়েছেন আহমেদাবাদের বই ব্যবসায়ীরা। আরও পড়ুন: তালিবানকে স্বীকৃতি না দিলে দ্বিতীয় ৯/১১-র জন্য তৈরি থাকতে হবে! বিস্ফোরক হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

Next Article