Balasore Train Accident: কীভাবে ঘটল বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা, দোষ কার? রিপোর্ট জমা পড়ল রেল মন্ত্রকের কাছে
Coromandel Express Accident: সূত্রের খবর, যে সময় রিকানেকশন মেমো ইস্যু করা হয়েছিল, তখনও সিগন্যালিং স্টাফরা সিগন্যাল সারানোর কাজ করছিলেন।

নয়া দিল্লি: কার দোষে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস(Coromandel Express Accident)? বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা (Balasore Train Accident) নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১২টি কামরা। ইঞ্জিন সহ দুটি কামরা উঠে যায় মালগাড়ির উপরে। ধাক্কা লাগে ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের সঙ্গেও। সেই দুর্ঘটনারই এক মাস পর দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল। জানা গিয়েছে, বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় সিগন্য়ালিং মেইনটেন্যান্স স্টাফ ও স্টেশন অপারেশন স্টাফকেই যুগ্মভাবে দায়ী করেছে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (Commissioner of Railway Safety)।
সূত্রের খবর, বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে বোর্ডের কাছে। সূত্রের খবর, যেহেতু বালেশ্বরের দুর্ঘটনাযর তদন্ত করছে সিবিআই, তাই এই রিপোর্ট এখনই প্রকাশ্যে আনা হবে না। সিআরএসের তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে সিবিআইকে।
কী বলা হয়েছে তদন্ত রিপোর্টে?
সূত্রের খবর, বালেশ্বরের দুর্ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে সিগন্য়ালিং মেইনটেন্যান্স স্টাফ ও স্টেশন অপারেশন স্টাফকেই দায়ী করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, সিগন্যালিং ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত একজন আধিকারিক, যাকে সিগন্যালিং মেনটেন্যান্স স্টাফ (Signaling Maintenance Staff) বলা হয়, তিনি স্টেশন মাস্টারের (Station’s operation staff) কাছে খারাপ হওয়া সিগন্যাল সারানোর জন্য একটি ডিসকানেকশন মেমো (Disconnection Memo) জমা দেন।
সারাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পরে নিয়মমাফিক একটি রিকানেকশন মেমো (reconnection memo)-ও জমা দেওয়া হয়। এই সময় থেকেই লাইনের ইন্টারলকিং সিস্টেম (Electronic interlocking signaling system) চালু হয়ে যায়। কিন্তু সূত্রের খবর, যে সময় রিকানেকশন মেমো ইস্যু করা হয়েছিল, তখনও সিগন্যালিং স্টাফরা সিগন্যাল সারানোর কাজ করছিলেন।
রেলের রক্ষণাবেক্ষণের নিয়ম অনুযায়ী (safety protocol of railway maintenance), সংশ্লিষ্ট লাইনে ট্রেন চালানোর আগে সারাই হওয়া সিগন্যালিং সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বালেশ্বরের ওই সারাই হওয়া লাইনের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মেনে পরীক্ষা করা হয়নি। পাশাপাশি তদন্তে রিলে রুমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
