ত্রিপুরার বাঁশের শিল্পে সাজবে নতুন পার্লামেন্ট ভবন, আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী
বাঁশের বোতল, বাস্কেট ও মোবাইল স্ট্যান্ড নীতিন গদকড়িকে (Nitin Gadkari) উপহার দিয়েছেন ত্রিপুরার (Tripura) সাংসদ
আগরতলা: রাষ্ট্রপতি ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর অফিস তৈরিতে ত্রিপুরার বাঁশের জিনিস ব্যবহার হয়েছে আগেই। এবার নতুন পার্লামেন্ট ভবন তৈরিতেও ব্যবহার করা হবে সেই বাঁশ। ত্রিপুরার সাংসদ রেবতী ত্রিপুরাকে এই বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গদকড়ি (Nitin Gadkari)।
ত্রিপুরার ওই সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি বাঁশের বোতল, বাস্কেট ও মোবাইল স্ট্যান্ড উপহার দিয়েছেন নীতিন গদকড়িকে। এরপরই তিনি বাঁশের জিনিস আরও বড় কোনও ক্ষেত্রে ব্যবহার করার আর্জি জানান। ত্রিপুরার বাঁশের জিনিস কতটা পরিবেশ বান্ধব সে কথাও মন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেন তিনি। প্লাস্টিক ও লোহার জিনিসের ক্ষেত্রে যে সব ক্ষতি হতে পারে, তার থেকে এই বাঁশ অনেক নিরাপদ বলেও উল্লেখ করেন।
সাংসদ জানিয়েছেন, মন্ত্রীর দাবি এই বাঁশ ব্যবহারে পার্লামেন্ট ভবন সাজানো হলে তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভোকাল ফর লোকাল উদ্যোগকে সমর্থন করবে। দেশ-বিদেশে সুখ্যাতি আছে এই বাঁশের শিল্পের।
গত ডিসেম্বরে নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন ভবন তৈরি হলে লোকসভা কক্ষ ও রাজ্যসভা কক্ষের আয়তন অনেকখানিই বাড়বে। নতুন এই সংসদ ভবন তৈরিতে খরচ হবে ৯৭১ কোটি টাকা। নতুন ভবনে লোকসভায় বসতে পারবেন ৮৮৮ জন। রাজ্যসভায় বসার আসন থাকবে ৩৮৪টি। এখন লোকসভায় ৫৪৩ জন সাংসদ বসতে পারেন। রাজ্যসভায় ২৪৫ জন সাংসদের বসার আসন রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুল খুলতেই করোনা আক্রান্ত ৫৪ পড়ুয়া, বন্ধ হস্টেল
টাটা প্রজেক্টস ও কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর ইতিমধ্যেই নতুন সংসদ ভবনের কাজ শুরুর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বর্তমান সংসদ ভবনের সামনে যে অংশে কাজ হবে, সেই এলাকাটি ঢেকে ফেলা হচ্ছে। শব্দ ও বায়ুদূষণ যথা সম্ভব কম রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা।