AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

J&K Encounter: ২৪ ঘণ্টায় জোড়া সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, বারামুল্লাতেও এনকাউন্টারে খতম ২ লস্কর জঙ্গি

Jammu Kashmir: গত ২৪ ঘণ্টায় এটা দ্বিতীয় এনকাউন্টার অভিযান ছিল। এর আগে বুধবার কুপওয়াড়ায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোখে পুলিশ ও সেনা বাহিনী। সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।

J&K Encounter: ২৪ ঘণ্টায় জোড়া সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, বারামুল্লাতেও এনকাউন্টারে খতম ২ লস্কর জঙ্গি
ফাইস চিত্র
| Edited By: | Updated on: May 04, 2023 | 8:45 AM
Share

শ্রীনগর: সাতসকালেই উপত্যকায় এনকাউন্টার (Encounter)। বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বারামুল্লায় (Bsramulla)জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে গুলির লড়াই। শেষ খবর অনুযায়ী, দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একে৪৭ রাইফেল সহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান (Search Operation)। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টার হল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় বেশ কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর পেয়েই এ দিন ভোরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। বারামুল্লার ক্রিরি এলাকার ওয়ানিগাম গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। জবাবে পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়, এনকাউন্টার অভিযানে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল ও একাধিক পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা না গেলেও, তারা লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় এটা দ্বিতীয় এনকাউন্টার অভিযান ছিল। এর আগে বুধবার কুপওয়াড়ায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোখে পুলিশ ও সেনা বাহিনী। সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। উপত্যকায় হঠাৎ করে জঙ্গি গতিবিধি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, দিন কয়েক বাদেই জম্মু-কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক হতে চলেছে। ওই অনুষ্ঠান ঘিরে অশান্তি সৃষ্টি করতেই জঙ্গিরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বড়সড় হামলার ছক কষেছে, এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।

গোপন সূত্রে খবর পেয়েই বুধবারও কুপওয়াড়ার পিচনাদ মাচিল সেক্টরে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনা বাহিনী। কুপওয়াড়ার সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট জানান, নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে মাচিল সেক্টর দিয়ে জঙ্গিরা প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে, এই খবর আগে থেকেই ছিল। সোমবার থেকেই সেই কারণে জারি করা হয়েছিল কড়া সতর্কতা বা হাই অ্যালার্ট। বুধবার কয়েকজন জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই গুলি চালায় সেনা বাহিনী। সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।

নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, জি-২০-র বৈঠক যাতে শান্তি ও নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনা ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অতিরিক্ত বাহিনী নামানো হয়েছে।