লখনউ: আড়াই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ককে পরিণতি দিতে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু, বিয়ের দিন ঘাবড়ে গিয়েছিলেন পাত্র। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলন। কিন্তু, তাঁর প্রেমিকা তথা হবু বউকে চিনতে একটু ভুল করেছিলেন তিনি। তিনি যে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন, তা বুঝতে পারেননি বর। বিয়ের মণ্ডপে বসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর, কনে নিজেই বরকে খুঁজতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপর, বিয়ের পোশাকেই প্রায় ২০ কিলোমিটার ধাওয়া করে বরকে পাকড়াও করেন। আর তারপর বরকে একরকম বিয়ের পিড়িতে বসতে বাধ্য করেছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই বিবাহটি হয়েছে উত্তর প্রদেশের বেরিলিতে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিয়ের কথা বরের বাড়ির লোকজন জানতেন না। বিয়ের ঠিক আগে বর তাঁর হবু বউকে ফোন করে বলেছিলেন, তিনি তাঁর মাকে অনুষ্ঠানস্থলে আনতে যাচ্ছেন। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে যায়। কনের বিশ্বাস ভাঙে। তাঁর এতদিনের প্রেমিক তাঁকে প্রত্যাখ্যান করছে তা মেনে নিতে পারেননি তিনি। তারপর, বিয়ের পোশাকেই বরকে ধাওয়া করা শুরু করেন তিনি। শেষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বেরিলি শহরের সীমানার বাইরে একটি থানার কাছে একটি বাসে বরকে পাওয়া গিয়েছিল। তারপর, দুই ঘণ্টা ধরে বর-কনেতে চলে নাটকীয় মতবিনিময়।
এরপর হবু বউ ও তাঁর পরিবার, বরকে নিয়ে একটি মন্দিরে যায়। সেখানেই ডেকে পাঠানো হয় বরের পরিবারকেও। তাঁরা এসে সব শুনে বিয়েতে সম্মতি দেন। এরপর বেরিলি শহরের বাইরে ওই মন্দিরে দুজনের বিয়ে হয়। তাঁদের বিয়ের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে, একেবারে সাধারণ পোশাক পরে, বিমর্শ মুখে বিয়ের আচারাদি পালন করছেন বর। আর পাশে দাঁড়িয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা।
নেট দুনিয়ায় অবশ্য বরের প্রতি কোনও সহানুভূতি দেখা যায়নি। বরং, মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্তব্য থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে, সাহসের সঙ্গে নিজের বিয়ে রক্ষা করার জন্য প্রশংসা করা হয়েছে কনেটির।