ভুবনেশ্বর: বাঙালিদের পর্যটনের তালিকার মোটামুটি উপরের দিকেই থাকে পুরী। তাই ভিন রাজ্যে বাঙালির সুবিধার্থে পুরীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গেস্ট হাউস (West Bengal Guest House) তৈরির ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি এক প্রশাসনিক সভা থেকেই পুরীতে রাজ্যের গেস্ট হাউস তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এর মধ্যেই আবার তিনদিনের সফরে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজেই গেস্ট হাউস তৈরির জমি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন। জমি পছন্দ হয়েছে বলে ওড়িয়া ভাষায় তিনি জানালেন, “খুশি আছুন্তি, জমি দেখুন্তি।”
কয়েক মাস আগেই এই গেস্ট হাউস তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য়ের পূর্ত দফতরের আধিকারিক ও অন্যান্য় প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে এই পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেও চেয়েছিলেন। এবার নিজেই সরেজমিনে সেই জমি খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করতে গেলেন মমতা। জমি চিহ্নিত করার জন্য পুরীর জেলাশাসক ও মুখ্য সচিব তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন। তিনি এর জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীণ পট্টনায়েককে ধন্যবাদও জানান। জমি খতিয়ে দেখে তা পছন্দও হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা।
তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওড়িয়া ভাষায় তিনি বলেন, “জমি দেখুন্তি, খুশি আছুন্তি। কাল নবীনজির সঙ্গে মিলুন্তি।” তিনি জমি পরিদর্শন করে আরও বলেন, “জায়গা আমার পছন্দ হয়েছে। এখানে নয়া বিমানবন্দর হবে। একটা সেতুও হচ্ছে এখানে। আপনাদের জানা আছে, বাঙালি পর্যটক এখানে সারাবছর আসে। কখনও কখনও ওদের থাকার জায়গা পাওয়া যায় না।” তিনি বলেছেন, রথে ও স্নানযাত্রায় এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। সেই সময় অনেক ক্ষেত্রেই হোটেলে জায়গা পাওয়া যায় না। তাই তিনি এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি গেস্ট হাউস করতে চান। আর জমির বিষয়ে আগামিকাল নবীণ পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি রাজনৈতিক বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, গতকালই ওড়িশার উদ্দেশে উড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়শি রাজ্যে তিনদিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছেন তিনি। গতকাল তিনি ভুবনেশ্বরেই রাত কাটান। আজ পুরীতে গিয়েছেন। জগন্নাথ মন্দিরে আজ পুজো দেওয়ার কথা তাঁর। এর মধ্যে আগামিকাল ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীণ পট্টনায়েকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর।