100 Days Work: ১০০ দিনের কাজে বাংলার বরাদ্দ শূন্য! এতদিনে অভিষেকের ‘প্রশ্নে’ বঞ্চনা স্বীকার কেন্দ্রের

100 Days Work: অধিবেশনে একাধিকবার এই বিষয়টিই উত্থাপন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও এই বিষয়টিই উত্থাপন করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেন, এখনও পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এম্পপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে কত টাকা বাকি রয়েছে? পাশাপাশি কোন রাজ্যের ক্ষেত্রে কত টাকা বাকি রয়েছে, তার তালিকা দেওয়া হোক।

100 Days Work: ১০০ দিনের কাজে বাংলার বরাদ্দ শূন্য! এতদিনে অভিষেকের প্রশ্নে বঞ্চনা স্বীকার কেন্দ্রের
ফাইল ফোটোImage Credit source: Social Media

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 10, 2025 | 12:04 PM

নয়া দিল্লি: ১০০ দিনের কাজে বাংলার বরাদ্দ শূন্য, মানল কেন্দ্র। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে সত্য সামনে আমল কেন্দ্র। কেন্দ্রের স্বীকারোক্তি বাংলা ছাড়া সব রাজ্যের বরাদ্দ মিটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি অর্থবর্ষে এক টাকাও দেওয়া হয়নি বাংলাকে। এর আগেও অধিবেশনে একাধিকবার এই বিষয়টিই উত্থাপন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও এই বিষয়টিই উত্থাপন করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেন, এখনও পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এম্পপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে কত টাকা বাকি রয়েছে? পাশাপাশি কোন রাজ্যের ক্ষেত্রে কত টাকা বাকি রয়েছে, তার তালিকা দেওয়া হোক।

সেখানে দেখা যাচ্ছে, সব রাজ্যেই ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রেই কোনও অর্থ দেওয়া হয়নি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। কেবল তাই নয়, ২০২২ সালের পর থেকেও এক টাকাও দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে  কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কমলেশ পায়োয়ান লিখিত উত্তরে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশিকা, তা সম্পূর্ণভাবে পালন করেনি। টাকা পাওয়ার জন্য যে যে নির্দেশিকা পালন করার দরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা পালন করেনি বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। আর সে কারণেই অর্থ মেটানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

সেক্ষেত্রে কোন কোন কমিটি, কী কী রিভিউ করে টাকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাও এই চিঠিতে বিস্তারিত উল্লেখিত রয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বকেয়া অর্থ নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র প্রতিবাদ করেছিল। এমনকি দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসেছিলেন অভিষেক। একই ইস্যু যে ২০২৬-এর ভোটেও তোলা হবে, তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্ন তোলা থেকেই স্পষ্ট, তেমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। হাইকোর্টে হেরেছে কেন্দ্র। আবার সুপ্রিম কোর্টেও হার। নির্দেশ রয়েছে, কাজ শুরু করতেই হবে, টাকা দিতে হবে। এদিকে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এই কথা বলছে।”  উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসেই একশো দিনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়,  সব বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রকে। সুপ্রিম নির্দেশে বাধা কাটে বাংলার একশো দিনের কাজেও। নির্বাচনের আগে ‘সুপ্রিম’ এই নির্দেশও শাসকদলকে ডিভিডেন্ট দেবে, তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।  অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “আমাদের বরাদ্দ শূন্য, কারণ বাংলা চুরি করেছে।”