Bengaluru Stampede Death: ছেলের জন্য কেনা জমিতেই তাঁকে দিতে হল কবর! কাঁচা মাটি আঁকড়ে বাবার কান্না, ‘আমিও এখানেই থাকব…’

Bengaluru Stampede Death: ভূমিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়েের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিল। বাকিদের মতো চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেও গিয়েছিল জয়ী আরসিবি টিমকে দেখতে। বাড়ি ফিরল নিথর দেহ হয়ে।

Bengaluru Stampede Death: ছেলের জন্য কেনা জমিতেই তাঁকে দিতে হল কবর! কাঁচা মাটি আঁকড়ে বাবার কান্না, আমিও এখানেই থাকব...
ছেলের কবর আঁকড়ে বাবার কান্না।Image Credit source: X

|

Jun 08, 2025 | 6:49 AM

বেঙ্গালুরু: কবরের উপরের মাটিগুলি এখনও আলগা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে কয়েকটা ফুলর মালা। সেই কবর জড়িয়েই হাউহাউ করে কাঁদছেন মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। বলছেন, তিনি আর ফিরবেন না। এখানেই থেকে যেতে চান। তার কারণ এখানেই যে শায়িত আছে তাঁর একমাত্র ছেলে। সন্তানের জন্যই কিনেছিলেন জমি, সেই জমিতে স্বপ্নের বাড়ি গড়া হল না, নিজের হাতে কবর দিতে হল ছেলেকে।

আরসিবির অন্ধ ভক্ত। প্রথমবার ট্রফি জেতা, ঘরের মাঠে সেলিব্রেশন। আইপিএল ট্রফি নিয়ে বিরাট বাহিনী বেঙ্গালুুরুতে পৌঁছতেই আনন্দে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি, সবকিছু ছেড়ে ছুটে গিয়েছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শুধুমাত্র নিজের পছন্দের খেলোয়াড়দের এক ঝলক দেখার। নাহ, সেই দেখা হয়নি। তার বদলে মা-বাবার সঙ্গেই আর কখনও দেখা হল না। বাড়িতে পৌঁছল ভূমিক লক্ষ্ণণের নিথর দেহ। বেঙ্গালুরুর পদপিষ্ট দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে বছর একুশের যুবকেরও।

ছেলের জন্যই হাসান জেলায় নিজের গ্রামে জমি কিনেছিলেন বিটি লক্ষ্ণণ। সেই জমিতেই যে ছেলেকে কবর দিতে হবে, তা কখনও ভাবেননি। ছেলের কবর আঁকড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে যা হয়েছে, তা যেন কারোর সঙ্গে না হয়।আমি এই জমিটা ওর জন্য কিনেছিলাম, আজ এখানে ওঁর স্মৃতিসৌদ্ধ তৈরি হচ্ছে।”

আশেপাশের লোকজনেরা তাঁকে মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করলেও, ছেলের কবর আঁকড়ে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, “আমি আর কোথাও যেতে চাই না। আমিও এখানেই থেকে যেতে চাই। কোনও বাবাকে যেন এইদিন দেখতে না হয়, যা আজ আমি দেখছি।”

জানা গিয়েছে, ভূমিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়েের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিল। বাকিদের মতো চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেও গিয়েছিল জয়ী আরসিবি টিমকে দেখতে। বাড়ি ফিরল নিথর দেহ হয়ে। তাঁর বাবা চাননি ছেলের এমন মৃত্যুর পর তাঁর দেহ কাটাছেঁড়া করা হোক। তিনি অনুরোধ করে বলেন, “আমার একটাই ছেলে ছিল, তাঁকেও হারিয়ে ফেললাম। প্লিজ ওর দেহ দিয়ে দিন আমায়, ময়নাতদন্ত করবেন না, ওর দেহ টুকরো টুকরো করবেন না। মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী হয়তো আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, কিন্তু ওঁরা তো আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বিটি লক্ষ্ণণের এই বুক ফাটা কান্নার ভিডিয়ো। কর্নাটক বিজেপির তরফেও এই ভিডিয়ো শেয়ার করে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিহতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণ ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছেন।

যতই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, এই ক্ষতি কি কখনও পূরণ হওয়ার? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।