বক্সার: পড়াশোনার জন্য খাতা কিনতে বাড়ি থেকে বাজারে গিয়েছিলেন ১৩ বছরের এক নাবালিকা। পথে তাঁকে অপহরণ করে চার যুবক। অপহরণ করে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ভাড়া বাড়িতে। সেখানে চার দিন আটকে রাখা হয় তাকে। চার অপহরণকারী-সহ মোট ৬ জন নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তার পর তাঁকে একটি রেলস্টেশনের ধারে ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্তরা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলায়। ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সার জেলার মুরার থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে বাড়ি ওই নির্যাতিতা নাবালিকার। সম্প্রতি খাতা কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সে। সে সময়ই তাঁকে অপহরণ করে চার অভিযুক্ত। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় পটনার একটি ভাড়াবাড়ি। সেখানে তাঁকে গণধর্ষণ করে অভিযোগ। ছ’জন মিলে চার দিন ধরে ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। টানা অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। তখন অভিযুক্তরা গাড়িতে করে তুলে নিয়ে আসে নির্যাতিতাকে। তাকে দুমারাও রেলস্টেশনের বাইরে ফেলে পালায়। ওই স্টেশন থেকে কোনও মতে বাড়িতে ফিরে আসে সে। মাঝরাতে বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোককে ঘটনার কথা জানিয়েছিল অত্যাচারিতা নাবালক।
এর পরই মুরার থানায় অপরহণ এবং গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পর অভিযুক্তদের খোঁজে নামে পুলিশ। বক্সার পুলিশের অফিসার সচিন সিং জানিয়েছেন, দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তকারী অফিসার আরএস যাদব বলেছেন, “বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছি আমরা। শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।”