Tejashwi Yadav: ‘যদি ২০২০-র মতো হয়, তাহলে জনগণই বুঝে নেবে…’, ফল প্রকাশের আগেই হুঙ্কার তেজস্বীর

Bihar Assembly Election 2025: বিহারে চলতি বছরের এসআইআরের পর এই প্রথম নির্বাচন। এসআইআরে বিহারের প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস তো ক্রমাগত নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ আনছে।

Tejashwi Yadav: যদি ২০২০-র মতো হয়, তাহলে জনগণই বুঝে নেবে..., ফল প্রকাশের আগেই হুঙ্কার তেজস্বীর
তেজস্বী যাদব। Image Credit source: PTI

|

Nov 14, 2025 | 8:43 AM

পটনা: বিহারে মহারণ। আজ, ১৪ নভেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ (Bihar Assembly Election 2025)। তার আগেই বিরাট বড় দাবি করলেন বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। তাঁর দাবি, ভোট গণনার পুরো প্রক্রিয়াকেই ধীর গতি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, বিশেষ করে যেখানে প্রার্থীদের মধ্যে মার্জিন কম থাকবে, সেখানেই গণনা ধীরে ধীরে হবে। এভাবেই বিজেপি ভোটে কারচুপি করার চেষ্টা করবে।

এবার বিহারে তাদের জয় নিশ্চিত বলেই আত্মবিশ্বাস তেজস্বী যাদবের। এর আগে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পেলেও, এবার তেজস্বীর লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। ভোট নিয়ে তেজস্বী যাদব বলেন যে বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে। ভোটের গণনা প্রক্রিয়াই ধীর গতির করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

পটনায় সাংবাদিক বৈঠক করে লালু পুত্র বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ব। আমাদের সব কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে থাকবে এবং চোখ-কান খোলা রাখবে। প্রশাসন যদি ২০২০ সালের ভুল আবার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করে বা কেউ সীমা পার করে, কোনও অসাংবিধানিক বা অনৈতিক কাজ হয়, যদি কোনও আধিকারিক কারোর নির্দেশে কাজ করেন, তাহলে জনগণই বুঝে নেবেন তাদের।”

নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তেজস্বী বলেন, “সকল আধিকারিকদের কাছে, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের অনুরোধ যে পক্ষপাতহীন ভাবে ভোটগণনা করবেন।”

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহাগঠবন্ধন বেশ কয়েকটি আসনে খুব সামান্য ব্যবধানে, কোনও কোনও আসনে ১ হাজারেরও কম ভোটে হেরে গিয়েছিল। এনডিএ যেখানে ১২২টি আসন পেয়েছিল, সেখানেই আরজেডি-কংগ্রেস সহ ছোট দলগুলির মহাগঠবন্ধন জোট ১১০টি আসনে জয়ী হয়েছিল। একক দল হিসাবে সর্বাধিক আসন জিতেছিল আরজেডি-ই। ৭৫টি আসনে জিতেছিল তারা।

বিহারে চলতি বছরের এসআইআরের পর এই প্রথম নির্বাচন। এসআইআরে বিহারের প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস তো ক্রমাগত নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ আনছে। যদিও তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এবারের ভোটে টাকার খেলা চলছে বলেই দাবি করেন তেজস্বী। ভোট কিনতে বিপুল টাকা খরচ করা হয়েছে। তেজস্বী বলেন, “রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যখন আমরা ভোটাধিকার যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখনই স্পষ্ট ছিল যে আমরা ২০০-রও বেশি সিটে জিতব। কিন্তু রাতের অন্ধকারে টাকা বিতরণ করে ভোট চুরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে এনডিএ সরকার ভোট চুরি করছে।”

এক্সিট পোল বলছে, এনডিএ-ই ফের একবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে বহুবারই এক্সিট পোলের পূর্বাভাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে।