মুজফ্ফরপুর: আচমকাই যদি আপনার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা ‘ক্রেডিট’ হয়ে যায় একবার ভাবুন তো আপনার অবস্থাটা ঠিক কী রকম হবে। অনেকেই বলবে, এসব অলীক কথাবার্তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। তাই এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়েও লাভ নেই। তবে বিহারের মুজফ্ফরপুরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে সম্প্রতি এমনটাই হয়েছে। তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে ৫২ কোটি টাকা (52 crore rupees in Pension Account)।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম রাম বাহাদুর শাহ। বিহারের কাটরা থানা এলাকায় বাড়ি তাঁর। সম্প্রতি ওই বৃদ্ধ নিজের পেনশন অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে স্থানীয় সিএসপি আধিকারিকের কাছে গিয়েছিলেন। নিজের খাতে কত টাকা রয়েছে তা জানতে ওই আধিকারিককে আধার কার্ডটি দেন। এরপর আঙুলের ছাপ দিতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স। যা দেখে ওই বৃদ্ধের মূর্ছা যাওয়ার জোগাড়। দেখেন অ্যাকাউন্টে ৫২ কোটি টাকা জমা রয়েছে।
এদিকে রাম বাহাদুরের এই সঞ্চয় দেখে তো সিএসপি আধিকারিকেরও মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। রাম বাহাদুর জানান, তিনি একজন কৃষক। এমন ঘটনা দেখে তো তাঁর চোখ কপালে উঠে যায়। কিছুটা ঘাবড়েও যান তিনি। এদিকে বাবার অ্যাকাউন্টে এমন লক্ষ্মীর বাস দেখে ছেলে সুজিত কুমার দ্বিগুণ উচ্ছ্বসিত।
সুজিত কুমারের সরকারের কাছে আবেদন, “আমার বাবার অ্যাকাউন্টে ৫২ কোটি টাকা এসেছে। এত টাকা দেখে আমরা কিছু হতবাক ঠিকই। আমরা ক্ষেতে কাজ করে খাওয়া মানুষ। আমাদের সরকারের কাছে আর্জি, এই টাকা থেকে যদি কিছুটা আমাদের দিয়ে দেওয়া হয় তা হলে বাবার বাকি জীবনটা খেয়ে পরে নিশ্চিন্তে কেটে যায়। আমরা খুবই গরীব। সে কারণে বাবাকে এই বয়সেও মাঠে গিয়ে কাজ করতে হয়।”
কাটরা থানার সব ইন্সপেক্টর মনোজ পাণ্ডে বলেন, স্থানীয় লোকজন ও সংবাদমাধ্যমের দ্বারাই এই খবর তাঁদের কাছে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হবে। এমনকী যে ব্যাঙ্কে ওই বৃদ্ধের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখানকার আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
যদিও বিহারে এই ধরনের ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। কাটিহার থানা এলাকার দুই স্কুল ছাত্রের অ্যাকাউন্টেও এরকম ভাবেই ৯০০ কোটি টাকা ক্রেডিট হওয়ার খবর ছড়ায়। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় সে রাজ্যে। পরে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, সফটওয়ারের কিছু সমস্যার কারণে ওই টাকা দেখাচ্ছিল। আসলে অ্যাকাউন্টে এত টাকা ছিলই না। পরে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট বের করে দেখা যায় অ্যাকাউন্টে ১০০ টাকা পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি বিহারেরই খাগারিয়াতেও এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ১.৬১ লক্ষ টাকা ক্রেডিট হয় সম্প্রতি। পরে জানা যায়, ব্যাঙ্কের কিছু গোলমালের জন্যই এই ঘটনা।
আরও পড়ুন: Maldah: কলা চাষেও দুর্নীতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান