
পটনা: লোকসভায় তিনি বিজেপির শরিক। আর সেই শরিকের ‘তাঁবেদারি’ করতে গিয়েই কি ঘুরপথে চাপে পড়লেন নীতীশ? বছর কয়েক আগে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর দলে ভাঙন ধরানোর অভিযোগ তুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। নতুন বছরে আবার সেই একই কাণ্ড। পরপর পাঁচ জেডিইউ নেতার মুখে শোনা গেল দল ছাড়ার কথা।
তবে এবার কিন্তু কেউ ভাঙন ধরায়নি। বরং, একটা সিদ্ধান্তের জেরেই দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন এই নেতারা। কী সেই সিদ্ধান্ত? সংসদে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংশোধীত ওয়াকফ বিলের সমর্থন করায় নীতীশ কুমারের হাত ছেড়েছে দলের পাঁচ প্রথম সারির মুসলিম নেতা।
কারা কারা দল ছাড়ছে?
একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় জেডিইউয়ের হাত ছাড়ছে নাদিম আখতার, রাজু নায়ার ও তাবরেজ সিদ্দিকী আলীগ। শুক্রবার দল ছাড়ার কথা জানিয়ে নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন এই প্রথমসারির তিন নেতা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একই ইস্যুতে সুর চড়িয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন আরও দুই নেতা, যথাক্রমে মহম্মদ শাহনওয়াজ মালিক ও মহম্মদ কাসিম আনসারি।
এই ইস্তফা প্রসঙ্গে দলছুট প্রাক্তন রাজ্য যুবসভাপতি রাজু নায়ার জানাচ্ছেন, ‘লোকসভায় ওয়াকফ বিল পাশ হওয়ার পরেই আমি দলছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। সেই মর্মেই বৃহস্পতিবার নিজের ইস্তফাপত্রও জমা দিয়েছি।’ এরপরেই দলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে ভাবে এই মুসলিম-বিরোধী কালো আইনের পক্ষে জেডিইউ সমর্থন জানিয়েছে, তাতে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত।’
পাঁচ জনের দল ছাড়ার পর বর্তমানে জেডিইউ-এর অন্দরে প্রথম সারির মুসলিম নেতার সংখ্য়া দাঁড়াল তিন জন। শেষ বিধানসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, বিহারে মুসলিম ভোটের পরিসংখ্যান প্রায় ১৭ শতাংশ। সামনেই আবার নির্বাচন। তার আগে ওয়াকফ ঘিরে দলের এমন বিরোধী সুর ভোটের অঙ্কে নীতীশ চোট দিতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।