নতুন সরকার গড়ার পথে নীতীশ কুমার। ছবি:PTI
পটনা: দুই বছরও পার হল না, ফের নতুন সরকার বিহারে। মুখ্যমন্ত্রী একই থাকলেও, রাতারাতি বদলে গেল জোটসঙ্গীরা। বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের হাত ধরল জেডিইউ। আজ, বুধবারই নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন নীতীশ কুমার। এই নতুন গটবন্ধনে শুধুমাত্র জেডিইউ-ই নয়, লাভবান হচ্ছে জোটসঙ্গীরাও। বিহারের দুই প্রধান দল জেডিইউ ও আরজেডির মধ্যে জোটের চুক্তিতে কী কী শর্ত রাখা হয়েছিল, তাও জানা গেল সূত্র মারফত।
মঙ্গলবারের বারবেলাতেই বদলে গিয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মানচিত্র। বিজেপির হাত ছাড়তেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে বাকি দলগুলি। আরজেডি, কংগ্রেস, ৪টি ছোট আঞ্চলিক দল ও একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়েই ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন হাতের মুঠোয় রেখেছেন নীতীশ কুমার। দুই ঘণ্টার মধ্যে দুইবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা ও নতুন মহাগটবন্ধনে সরকার গঠনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ক্ষমতার ভাগাভাগি কেমন হবে, ইতিমধ্যে তাও স্থির হয়ে গিয়েছে।
নতুন জোটে কে কী পাবেন?
- সূত্রের খবর, প্রতিবারের মতো এবারও নতুন জোটে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিজের দখলেই রেখেছেন নীতীশ কুমার। জোটসঙ্গীরাও এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছে।
- উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পাচ্ছেন লালুপুত্র ও আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব।
- কে কোন মন্ত্রক পাবেন, তা স্থির করবেন নীতীশ কুমারই। এমনটাই সূত্রের খবর।
- তবে বিধানসভার স্পিকার বেছে নেওয়া হবে জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় জনতা দল থেকে। কে স্পিকার হবেন, তার সিদ্ধান্তও আরজেডিই নেবে।
- খালি হাত থাকবে না কংগ্রেসেরও। সূত্রের খবর,জেডিইউ ও আরজেডির মন্ত্রীর সংখ্যা বেশি হলেও, কংগ্রেসের কয়েকজনকেও মন্ত্রী পদ দেওয়া হবে। কমপক্ষে চারজন মন্ত্রী বেছে নেওয়া হতে পারে কংগ্রেস থেকে। গতকালই নীতীশ কুমার নতুন জোটের ঘোষণার পরে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেন এবং সমর্থন জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।
- সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে স্পিকার পদেরও দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ হবু মুখ্যমন্ত্রী। আরজেডির হাতে সবথেকে বেশি বিধায়ক রয়েছে, তাই স্পিকার তাদের দল থেকেই হওয়া উচিত, এমনটাই যুক্তি দিয়েছেন নীতীশ কুমার।
- আজ দুপুর ২টোয় মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব। তারপরেই নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা হতে পারে।