নয়া দিল্লি: যাদের পাতে দু’বেলা মুরগির মাংস না পড়লে, খাবারই মুখে রুচত না, তারাও এখন মুরগির থেকে শতহস্ত দূরে থাকতেই পছন্দ করছেন। দোকানিরা ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমালেও, সেই মুরগি ছুঁয়ে দেখছেন না কেউ। রেস্তোরাঁতেও চিকেনের বিভিন্ন আইটেমের বিক্রি নৈব নৈব চ। হঠাৎ সবার মনে মুরগির মাংস নিয়ে এত আতঙ্ক কেন? কী হচ্ছে?
আতঙ্ক নির্দেশিকা ঘিরে। ফের ছড়িয়ে পড়ছে এইচ৫এন১ ভাইরাস। মুরগি সহ খামারে প্রতিপালিত প্রাণীরা বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, তেলঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ সহ মোট ৯টি রাজ্যের জন্য সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় ডেয়ারি ও পশুপালন বিভাগের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বার্ড ফ্লু নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পোলট্রি ফার্ম ও পাখির মার্কেটগুলিতে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য যে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান রয়েছে, তা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফেও যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের খবর মিলছে। গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে ৫৫০০ পাখি মেরে ফেলা হয় ইনফ্লুয়েঞ্জায় ২৫০ পাখি মারা যাওয়ার পর। সরকারি একটি পোলট্রি ফার্ম থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, তেলঙ্গানাতেও বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ছড়াতেই ৩৫০০ দেশি মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে। গত মাসেই তেলঙ্গানা পড়শি রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ থেকে মুরগি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল পূর্ব গোদাবরী জেলায় বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে।