Bizarre Incident: সকাল হলেই স্বামীর গায়ে গঙ্গাজলের ছিঁটে, কোমায় আছেন, দাবি করতেন স্ত্রী… শিউরে ওঠার মতো সত্যি এল সামনে
Kanpur: অলোক রঞ্জন বলেন, "কানপুর ইনকাম ট্যাক্স কর্মীরাই জানান আমাকে। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার কথা বলেন। কারণ, ওই ব্যক্তির পরিবার পেনশন সংক্রান্ত কোনও তথ্য দাখিল করেনি।"
কানপুর: প্রায় একটা বছর ধরে বিছানায় পড়ে। কোনও নড়াচড়া নেই। পরিবার বারবারই দাবি করেছে, কোমায় রয়েছেন। বছর লাগল ‘ভুল’ ভাঙতে। জানতে পারল, ১৮ মাস ধরে মৃত ব্যক্তিকে ঘরে রেখে দিয়েছে তারা। উত্তর প্রদেশের কানপুরের এই ঘটনা সম্প্রতি সামনে আসতে হইচই পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিমলেশ দীক্ষিত। আয়কর দফতরের কর্মী ছিলেন তিনি। গত বছর কোভিড হয়েছিল তাঁর। এপ্রিল মাসে মারা যান। সূত্রের খবর, স্বামীর এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারেননি স্ত্রী। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ক্রমেই তাঁর মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটা সময় প্রতিদিন সকালে স্বামীর দেহে গঙ্গাজল ছেটাতেন তিনি। এমনও সূত্রের দাবি, স্ত্রী মনে করতেন স্বামী বোধহয় কোমায় চলে গিয়েছেন। গঙ্গাজলেই স্বামী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন বলেও মনে করতেন তিনি।
কানপুর পুলিশ তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল একটি বেসরকারি নার্সিংহোম বিমলেশ দীক্ষিতের ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়। শংসাপত্রে লেখা ছিল ‘সাডেন কার্ডিয়াক রেসপিরেটরি সিনড্রম’ এই মৃত্য়ুর কারণ। চিফ মেডিক্যাল অফিসার বা সিএমও অলোক রঞ্জন জানান, এপ্রিলে বিমলেশ মারা গেলেও তাঁর পরিবার শেষকৃত্য করেনি। কারণ তাঁরা বিশ্বাস করতেন, বিমলেশ কোমায় আছেন।
অলোক রঞ্জন বলেন, “কানপুর ইনকাম ট্যাক্স কর্মীরাই জানান আমাকে। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার কথা বলেন। কারণ, ওই ব্যক্তির পরিবার পেনশন সংক্রান্ত কোনও তথ্য দাখিল করেনি।” এরপরই শুক্রবার রাওয়াতপুর এলাকায় বিমলেশের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। অলোক রঞ্জন জানান, সে সময়ও বাড়ির লোকেরা জানান, বিমলেশ কোমায় আছেন। এরপর কিছুটা জোরাজুরি করেই বিমলেশের দেহ নিয়ে লালা লাজপত রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলেই ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ জানায়, দেহটি যখন উদ্ধার হয়, একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তা। এলাকার লোকজনও জানান, বিমলেশ দীক্ষিতের পরিবার গত এক বছর ধরে জানিয়ে এসেছে, বিমলেশ কোমায়।