নয়া দিল্লি : পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেখান থেকে মামলা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ফের শীর্ষ আদালতে বিজেপি। আগামিকাল জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানি হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে হবে সেই মামলার শুনানি।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, শনিবার সকালেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হবে। রবিবারই রাজ্যে পুর নির্বাচন। তাই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে।
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গত সোমবার সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘হাইকোর্টের কাছে বিষয়টি আপনারা জানান।’ বিজেপির সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন কৌঁসুলি মনিন্দর সিং। তাঁকে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভইয়ের বেঞ্চ জানায়, “আমরা সম্পূর্ণ সম্মানের সঙ্গেই জানাচ্ছি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। হাইকোর্ট এই পরিস্থিতি বোঝার জন্য আরও বেশি ভাল জায়গা।”
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। সিঙ্গল বেঞ্চ গতকাল, বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে বলে দেয় কেন কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র চারজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় এটা নয় বলেই যখন মত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, তিনটি অভিযোগ অনেকটা একই বক্তব্যে লেখা। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশ কাজ করেনি, এমনটা মনে হচ্ছে না। ভোটের আগের দিন কোনও প্রার্থীর তরফে এরকম অভিযোগ পেলে তাদের নিরাপত্তা নির্দিষ্ট করতে হবে। এজির আশ্বাসই যথেষ্ট। যেহেতু কমিশন এক্ষেত্রে মনে করছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে। তাই বাহিনীর দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়।
সিঙ্গল বেঞ্চে আর্জি খারিজ হয়ে যেতেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় বিজেপি। আজ সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশেই আস্থা রেখেছে আদালত। তবে নির্বাচনে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলে আদালতে জবাবদিহি করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। অন্তর্বর্তী নির্দেশে এমনটাই বলেছে আদালত। এরপরই ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি।
আরও পড়ুন : Uttarakhand Assembly Polls 2022: ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, ভোটমুখী দেবভূমে ঘোষণা ধামির