সাংসদ পদ ফিরে পেলেন বিজেপির স্বপন, পুনরায় মনোনিত করলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ
বিজ্ঞপ্তি বলছে, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদে বহাল থাকতে পারবেন।
নয়া দিল্লি: বিজেপির টিকিটে তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে লড়তে রাজ্যসভার আসন ছেড়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। ভোট মেটার মাসখানেক কাটতেই পুনরায় রাজ্যসভায় স্বপন দাশগুপ্তকে মনোনিত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি বলছে, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদে বহাল থাকতে পারবেন।
আগাগোড়া ভোট রাজনীতির থেকে দূরে থাকা স্বপনবাবু একুশের নির্বাচনে প্রথমবার নির্বাচনী ময়দানে তারকেশ্বর কেন্দ্র থেকে ভোটে নেমেছিলেন। বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতাদের থেকে বরাবরই তিনি ছিলেন কিছুটা ভিন্ন ধাতুতে গড়া। তথাকথিত বিজেপি নেতাদের মতো মৌখিক আগ্রাসন বা ধারালো বাক্যের ব্যবহার কখনই করতে শোনা যায়নি তাঁকে। সেই কারণে রাজনৈতিক মহলও কিছুটা আলাদা নজরেই দেখত সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা স্বপনবাবুকে। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তিনি নিজে কখনই ভোট রাজনীতির ময়দানে নামতে চাননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা এই নেতা দলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেতে পারেননি। ফলে ভোটের ময়দানে নামেন। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি। তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে ৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী রমেন্দু সিংহ রায়ের কাছে।
যদিও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছিল আগেই। রাজ্যসভার মনোনিত সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ভোটে লড়তে নামায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির। বিতর্কে জল ঢালতে নিজেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন স্বপনবাবু। তা গৃহীত হয়। ভোটে লড়েন স্বপনবাবু। তবে ভোটে পরাজিত হওয়ায় তাঁর বিধায়ক হওয়া হয়নি। তারপর থেকেই প্রচারমাধ্যমেই আড়ালেই ছিলেন তিনি। এ দিন সেই সাংসদ পদ ফিরে পান স্বপন দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন: বলার অধিকার শুধু অধিকারীরই, ‘সেন্সর’ পেরিয়ে আলাপন-পর্ব নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির শুভেন্দু
তবে শুধু স্বপন দাশগুপ্ত নয়, ভোটে পরাজিত হতে হয়েছে বিজেপির আরও একাধিক তারকা সাংসদকে। পরাজিত সাংসদের তালিকায় নাম রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়ো এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে, নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকারের মতো সাংসদ ভোটে জয়লাভ করলেও তাঁরা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে ৭৭ টি বিধানসভা আসন জয়লাভ করলেও বিজেপির বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়েছে ৭৫।
আরও পড়ুন: ‘আমার স্বামী বেঁচে আছে না মরে গিয়েছে?’ প্রশ্ন শোকাতুর স্ত্রী’র, হাসপাতাল বলল, ‘মুখ বদলে গেছে’