বলার অধিকার শুধু অধিকারীরই, ‘সেন্সর’ পেরিয়ে আলাপন-পর্ব নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির শুভেন্দু

মাসে আড়াই লক্ষ টাকা বেতন দিয়ে তাঁকে উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হয়েছে। করদাতাদের টাকা লুঠ তৃণমূলের শখ হয়ে দাঁড়িয়েছে, টুইটে লেখেন শুভেন্দু অধিকারী।

বলার অধিকার শুধু অধিকারীরই, 'সেন্সর' পেরিয়ে আলাপন-পর্ব নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির শুভেন্দু
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 01, 2021 | 3:38 PM

কলকাতা: প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandapadhyay) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করেছেন। তারই বিরোধিতায় এবার টুইটারে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দু, যাঁকে ঘিরে গত কয়েকদিনে নানা খাতে প্রবাহিত হয়েছে রাজ্য-দিল্লি সংঘাত। মঙ্গলবার টুইটারে শুভেন্দু দাবি করেন, অবসরের পরও মাসে আড়াই লক্ষ টাকা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেতন দিয়ে করদাতাদের টাকা লুঠ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় রাজ্যের সমালোচনা শোনা যায় তাঁর টুইটে। তবে একইসঙ্গে উল্লেখ্য, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-পর্ব নিয়ে এই প্রথম কোনও রাজ্য বিজেপি নেতা মুখ খুললেন। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, রাজ্য বিজেপির তরফে আলাপন-প্রসঙ্গে মুখ খোলার অধিকার কি শুধু অধিকারীকেই দেওয়া হল? ‘সেন্সর’ পারের ছাড়পত্র কি শুধু তিনিই পেলেন?

টুইটে কী লিখেছেন শুভেন্দু-

পশ্চিমবঙ্গে কৌতূক নাটক চলছে। অহঙ্কারের জন্য মুখ্যসচিবের শৃঙ্খলাভঙ্গকে আড়াল করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও সংবিধানকে অসম্মান করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব এমন কী গোপন বিষয় জানেন, যে কারণে তাঁকে আড়াল করছেন মুখ্যমন্ত্রী? মাসে আড়াই লক্ষ টাকা বেতন দিয়ে তাঁকে উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হয়েছে। করদাতাদের টাকা লুঠ তৃণমূলের শখ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অর্থাৎ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নির্বাচন যে শুভেন্দু মোটেই মেনে নিতে পারেননি তাঁর টুইটে সে কথা স্পষ্ট। শুভেন্দুর অভিযোগ, জনগণের করের টাকা দিয়ে এই উপদেষ্টাকে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কাছে এটা অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আলাপন-প্রসঙ্গ নিয়ে এই প্রথম কোনও বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে মুখ খুললেন। কেন না সম্প্রতি এ প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খোলার ব্যাপারে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ‘সেন্সর’ করা হয় বলে সূত্রের খবর। সূত্র মোতাবেক জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট বলে দিয়েছে, এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ নেতা থেকে ব্লকস্তরের নেতা, কেউই যেন কোনও মন্তব্য না করেন। এই প্রথম নীরবতা ভাঙল বিজেপির রাজ্য স্তরের কোনও নেতা। মুখ খুললেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

আরও পড়ুন: ঘরের সামনে ঝুলন্ত দেহ মহিলার, দরজা ঠেলে ঢুকতেই চোখ কপালে উঠল পুলিশের!

একইসঙ্গে সোমবার ইয়াস পরবর্তী কলাইকুন্ডার পর্যালোচনা বৈঠক নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যে টুইট করেছিলেন, এদিন তাও রিটুইট করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। সোমবার মধ্য রাতে টুইট করে রাজ্যপাল দাবি করেছিলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুণ্ডায় রিভিউ বৈঠক বয়কট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

টুইটে ধনখড় লেখেন, “গত ২৭ মে রাত ১১টা ১৬তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় একটি মেসেজ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? খুব জরুরি’।” তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক বয়কটের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি সদলে ওই বৈঠক বয়কট করবেন।