ঘরের সামনে ঝুলন্ত দেহ মহিলার, দরজা ঠেলে ঢুকতেই চোখ কপালে উঠল পুলিশের!
কী কারণে এই ঘটনা তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। করোনা নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে খতিয়ে দেখছে হাবড়া পুলিশ (Habra Police)।
উত্তর ২৪ পরগনা: একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু। হাবড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকালে স্বামী, স্ত্রী ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাবড়া পুলিশ। কিন্তু কেন এই ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পুর এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানেই রাজমিস্ত্রি প্রকাশ বিশ্বাস (৪৫), স্ত্রী শম্পা (৩২) ও ছেলে রিন্টুকে নিয়ে থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন প্রকাশ। শ্বাসেরও কষ্ট ছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পান, ঘরের সামনে শম্পার ঝুলন্ত দেহ। এরপরই খবর দেওয়া হয় থানায়।
আরও পড়ুন: পর পর গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল সিঁথি, ভর দুপুরে হাড় হিম করা ঘটনা শহরে
পুলিশ এসে দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকতেই দেখেন প্রকাশের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়। বাবার পাশেই শুয়ে মৃত ছেলেও। স্থানীয়রা মনে করছেন, করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রকাশের। সেই ঘটনার পর হতাশা থেকে স্ত্রী-সন্তান আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। যদিও পুলিশ এ নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছচ্ছে না। সব দিক খোলা রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে কোনও একজন বাকি দু’জনকে খুন করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাবড়া থানা পুলিশ।