‘আমার স্বামী বেঁচে আছে না মরে গিয়েছে?’ প্রশ্ন শোকাতুর স্ত্রী’র, হাসপাতাল বলল, ‘মুখ বদলে গেছে’

মঙ্গলবার সকালে দেহ নিতে এলে শোকের মধ্যেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পরিবারের। তাঁদের দাবি, যে মৃতদেহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া হচ্ছে তা শঙ্কর গুছাইতের নয়।

'আমার স্বামী বেঁচে আছে না মরে গিয়েছে?' প্রশ্ন শোকাতুর স্ত্রী'র, হাসপাতাল বলল, 'মুখ বদলে গেছে'
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 01, 2021 | 4:57 PM

কলকাতা: করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর দেহ নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে আবারও কাঠগড়ায় শহরের বেসরকারি হাসপাতাল। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, যে মৃতদেহ তাঁদের হাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তুলে দিয়েছে তা অন্য কারোর। তন্ন তন্ন করে দেহ খোঁজা হলেও মিলল না হদিশ। তাহলে মৃতদেহ গেল কোথায়? এই নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর কলকাতার লেকটাউন এলাকায়।

ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত অবস্থায় গত ১২ মে লেকটাউনের ড্যাফোডিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বেলেঘাটার বাসিন্দা শঙ্কর গুছাইতকে। কয়েকদিনের চিকিৎসায় তিনি কিছুটা ভাল হয়ে উঠেছিলেন বলে দাবি। কিন্তু, সোমবার আচমকা ফোন করে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে শঙ্করের। মঙ্গলবার সকালে দেহ নিতে এলে শোকের মধ্যেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পরিবারের। তাঁদের দাবি, যে মৃতদেহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া হচ্ছে তা শঙ্কর গুছাইতের নয়। তাহলে শঙ্কর গুছাইতের দেহ গেল কোথায়? গোটা হাসপাতাল এবং মর্গে খোঁজার পরও দেহের কোনও সন্ধান মেলেনি বলে দাবি পরিবারের। যে দেহটি দেওয়া হচ্ছে সেটি কার? সেই প্রশ্নেরও উত্তর অধরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যদিও দাবি, দেহটি শঙ্কর গুছাইতের। তবে সেই দাবি মানতে নারাজ গুছাইত পরিবার। মৃত শঙ্করের স্ত্রী এ দিন TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, “আমার স্বামীর দেহই নেই এখানে। ও চলে গেল কিন্তু দেখতেও পেলাম না। অন্য একজন বৃদ্ধের দেহে আমার স্বামীর নাম লিখে দেওয়া হয়েছে। ২১ দিন ধরে ভুলভাল চিকিৎসা করেছে। আমার স্বামী বেঁচে আছে না মরে গেছে আমি জানতে চাই।” গোটা ঘটনার কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে লেকটাউন থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: পর পর গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল সিঁথি, ভর দুপুরে হাড় হিম করা ঘটনা শহরে

এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের তরফে আরেক ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। হাসপাতালের দাবি, দীর্ঘদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোগভোগের ফলে শঙ্কর গুছাইতের মুখমণ্ডল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে পরিবার বা তাঁর স্ত্রী চিনতে পারছেন না মৃত ব্যক্তিকে। অন্যদিকে লেকটাউন থানার পুলিশও ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘরের সামনে ঝুলন্ত দেহ মহিলার, দরজা ঠেলে ঢুকতেই চোখ কপালে উঠল পুলিশের!