‘নেহরুই তো উপহার দিয়েছিলেন চিনকে’ কটাক্ষ বিজেপি সভাপতির, পাল্টা রাহুলের, ‘নাড্ডা কে?’

নাড্ডার আক্রমণে চুপ থাকেননি রাহুল গান্ধীও। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, "জে পি নাড্ডা কে? তাঁকে আমি জবাবদিহি করতে যাব কেন?"

'নেহরুই তো উপহার দিয়েছিলেন চিনকে' কটাক্ষ বিজেপি সভাপতির, পাল্টা রাহুলের, 'নাড্ডা কে?'
টুইট যুদ্ধে ব্যস্ত বিজেপি বনাম কংগ্রেস।
Follow Us:
| Updated on: Jan 19, 2021 | 4:29 PM

নয়া দিল্লি: অরুণাচল প্রদেশে চিনের গ্রাম তৈরি ঘিরে টুইট যুদ্ধে বিজেপি ও কংগ্রেস। অরুণাচল প্রদেশের ভারতীয় দিকে রাতারাতি একমাসের মধ্যে গ্রাম তৈরি করে নিয়েছে চিন, স্যাটেলাইট চিত্রে এমনটাই ধরা পড়েছে। সোমবার বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাহুল বনাম নাড্ডা দ্বৈরথ।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-কে নাম না করেই কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। একটি সংবাদপত্রে অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) চিনের গ্রাম তৈরি সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবি টুইট করে লেখেন, “আমি দেশকে ঝুঁকতে দেব না- এই প্রতিশ্রুতিটা মনে রাখবেন।” উল্লেখ্য, গতবছর জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিনের মধ্যে সংঘর্ষের আগেই প্রধানমন্ত্রী নিজের বায়োপিকের একটি গান উল্লেখ করে বলেছিলেন, “ম্যায় দেশ কো ঝুঁকনে নেহি দুঙ্গা”। সেই মন্তব্যকেই তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা।

আরও পড়ুন: বিনামূল্যে প্রতিবেশী দেশগুলিকে টিকা দেবে কেন্দ্র! বরাত পেল ভারত বায়োটেক

এরপরই বিজেপি (BJP)-র তরফেও আসতে থাকে কড়া জবাব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) জবাবি টুইটে লেখেন, ” রাহুল গান্ধী এখন নিজের মাসিক ছুটি কাটিয়ে ফিরে এসেছেন, আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই। আশা করছি আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এর জবাব দেবেন।” পরবর্তী টুইটে তিনি রাহুল ও কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “রাহুল গান্ধী ও তাঁর বংশ এবং কংগ্রেস কবে চিন নিয়ে মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করবে? তিনি যে অরুণাচল প্রদেশের উল্লেখ করছেন, সেই অঞ্চল সহ দেশের হাজার হাজার কিলোমিটার চিনের হাতে উপহার হিসাবে তুলে দিয়েছিলেন আর কেউ নন, স্বয়ং পন্ডিত জওহরলাল নেহরুই। এই বিষয়টি কী তিনি অস্বীকার করতে পারেন? বারংবার কংগ্রেস কেন চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, তা বলতে পারেন?”

নাড্ডার আক্রমণে চুপ থাকেননি রাহুল গান্ধীও। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, “জে পি নাড্ডা কে? তাঁকে আমি জবাবদিহি করতে যাব কেন? উনি কি আমার অধ্যাপক? আমি কেবল দেশবাসীর কাছেই জবাব দেব”।

এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার চিনের অধিগ্রহণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে দুই কোটি কৃষকদের স্বাক্ষরসহ একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েও তিনি বলেছিলেন, “দেশের অন্দরে ঢুকে বসে রয়েছে চিন। অথচ প্রধানমন্ত্রী চুপ করে বসে রয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি কথা বলেন না কেন?”

আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে অসমে সুনীল অরোরা, এরপর কি বাংলা?