নয়া দিল্লি : রামপুরহাটের বগটুই ‘হত্যাকান্ড’ নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনা নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় সুর চড়িয়েছেন বিরোধী নেতারা। এইবার লোকসভাতেও এই ঘটনার আঁচ এসে পড়ল। বুধবার লোকসভায় বগটুই হত্যাকান্ড প্রসঙ্গ তুললেন বিজেপি সাংসদ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লোকসভায় এই ঘটনার সম্পূর্ণ বর্ণনা দেন। তারপর তিনি লোকসভায় সকল দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন যে গত এক সপ্তাহে বাংলায় ২৬ টি রাজনৈতিক খুন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ক্রমান্বয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানান কক্ষে।
তিনি স্পষ্টভাবে জানান, সোমবার তৃণমূল চালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুন হন। সেই খুনের বদলা নেওয়ার জন্যই সেই রাতে পাঁচটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শুধু তাই নয় সেই ঘর থেকে যাতে কেউ বেরিয়ে আসতে না পারে তার জন্য বাইরে দরজায় তালাও দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি উল্লেখ করেছেন যে এই গোটা ঘটনায় প্রায় ১২ জন মারা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। তিনি সংসদে বলেছেন যে, মৃতরা সবাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তিনি বলেছেন, “শুধু ১২ জনই মৃত নয়। গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন যে প্রায় ২০ জন নিখোঁজ। গ্রামবাসী বলেছেন যে পুলিশের চোখের সামনে গোটা ঘটনা ঘটেছে।”
তারপর তিনি লোকসভায় সকল দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন যে রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে গত এক সপ্তাহে বাংলায় ২৬ টি রাজনৈতিক খুন হয়েছে। তিনি এদিন সংসদে সমগ্র বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্দশার প্রসঙ্গ তোলেন লোকসভায়। আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তিনি বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়ির উপর বোমা হামলার কথাও বলেন। বাংলার একটার পর একটা রাজনৈতিক খুন হয়ে চলেছে। এই ফাঁকে তিনি ২ মে এর পর ভোটপরবর্তী হিংসায় বিরোধীদের উপর হামলার কথা বলেন। তারপরই তিনি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানান। কেন্দ্রীয় সরকারকে সংবিধানে দেওয়া অধিকার প্রয়োগের কথা বলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময়ই সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন যে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করা হোক। এদিনও লোকসভায় সেই ইঙ্গিতই দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : TMC to Home Minister: বগটুইকান্ডে চাপ বাড়ছে? আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদরা