ইম্ফল : মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে কে বসছেন তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। এর আগে মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এন বীরেন সিং। তিনি সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। তাই তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদে পুনরায় আসীন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে তাঁর নামের পাশাপাশি আরেকটি নাম মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় উঠে এসেছে। তা হল মণিপুরের প্রাক্তন মন্ত্রী থংগাম বিশ্বজিৎ সিং। তবে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মণিপুরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই পরিস্থিতিতেই এন বীরেন সিং, বিশ্বজিৎ সিং এবং বিজেপির রাজ্য় সভাপতি অধিকারিমায়ুম শারদাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা ডেকে পাঠান। তারপরই চার্টাড বিমানে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন এন বীরেন সিং। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সহ একাধিক সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেন। বিশ্বজিৎ সিং মুখ্য়মন্ত্রীর তালিকায় থাকা অন্যতম কোনও মুখ কিনা এই প্রসঙ্গে করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে চান না। তিনি বলেছেন,”আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না… আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনও গ্রুপ নেই, এটা নিশ্চিত। বিজেপি একটি গণতান্ত্রিক দল, এবং নেতৃত্ব এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে (মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যা)।”
এইবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বজিৎ সিং এর নাম উত্থাপিত হয়েছে। কারণ দলের নেতারা মনে করেন যে তিনি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সত্ত্বেও ২০১৭ সালে তাঁর সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন। প্রসঙ্গত, সোমবার বীরেন সিং মণিপুরের বিধানসভার সদস্য হিসাবে শপথ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু দলের বিধানসভা বৈঠকের জন্য আগামী দিনে উত্তর-পূর্ব রাজ্য যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিদায়ী বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ১৯ মার্চ। মণিপুরে সম্প্রতি সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৬০ টি আসনের মধ্যে ৩২ টি আসনেই জয় পেয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে পাঁচটি আসন এবং এনপিপি সাতটি আসন পেয়েছে। নাগা পিপলস ফ্রন্ট পাঁচটি এবং কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স দুটি আসন পেয়েছে এবং স্বতন্ত্ররা তিনটি আসন পেয়েছে।
আরও পড়ুন : Russia-Ukraine Conflict : শেষ হয়নি অপারেশন গঙ্গা, ইউক্রেনে এখনও আটকে ভারতীয় নাগরিকরা