Suvendu Adhikary: মনরেগা প্রকল্পে হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি: শুভেন্দু অধিকারী

নয়া দিল্লি: রাজ্যের দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে দিল্লিতে শুভেন্দু অধিকারী। সকালেই দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক হয় তাদের মধ্যে। এরপর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন। এর পর নয়া দিল্লিকে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন তিনি। কী বললেন তিনি, দেখে নিন এক নজরে –

2. বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী শুধু নয়, কোর্টের পর্যবেক্ষণে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের অধীনে করতে হবে। দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুনানি শেষ হয়েছে, এখনও রায় ঘোষণা করা হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবে করানোর জন্য মানুষ যা যা চাইছেন, তা আমরা করতে পারব বলে আশাবাদী।
3. বিজেপি এর বিরোধিতা করবে। ২৯ এপ্রিল নেতাজি মূর্তির সামনে ধরনা প্রদশন করবে বিজেপি নেতৃত্ব। ৩০ এপ্রিল বাংলায় রামনবমী পালন করবে বিজেপি।
4. এই জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকার রামনবমীর দিন, রমজান মাসে আন্দোলন করতে নামছেন। আর্থিক কেলঙ্কারির দিক থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর চেষ্টা
5. রোজ বাংলার মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। ৬০,০০০ জনের ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। গত ১২ বছরে কোনও বড় শিল্প হয়নি, একটিও বিমানবন্দর তৈরি হয়নি, কোনও বন্দর তৈরি হয়নি। রেল প্রকল্পের জন্যও, বিমান বন্দরের জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে দেশি মদ সস্তা হয়েছে। বাংলার হাল জঙ্গলরাজের থেকেও খারাপ।
6. আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, জল জীবন মিশন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান – সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে বাংলার সরকার।
7. মনরেগা প্রকল্পে মোদী সরকার ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব জবকার্ড আধারের সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। জানুয়ারিতে ১ কোটি জবকার্ড ফেক বলে ডিলিট করে দেয় রাজ্য সরকার। অর্থাৎ, গত ১০ বছর ধরে এই ফেক জবকার্ড পিছু মনরেগা প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে হাজার কোটি টাকা নিয়েছে বাংলার সরকার। এটা একটা বড় কেলেঙ্কারি। এর সঙ্গে পঞ্চায়েত, বিডিও, পুরো তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পক্ষ থেকে আমরা সব নথি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-কে পাঠিয়েছি। আমরা এর তদন্ত চেয়েছি, আমি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছি। সিবিআই তদন্ত চেয়েছি।
8. অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন বাংলার জিএসটি চাহিদার ৯০ শতাংশ দিয়েছে কেন্দ্র। বাকি সব প্রদেশ ১০০ শতাংশ জিএসটি পেয়ে গিয়েছে। রাজ্য অডিট রিপোর্ট পাঠায়নি বলে ১০ শতাংশ আটকে আছে। কিন্তু কেন্দ্র কোনও বিভেদ করেনি।
9. বাংলা সমস্ত দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে। বাংলার ঋণ ৩ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেেন মমতা। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে ৯ গুণ। বাংলায় বেকার যুবকের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে মমতা সরকার।
10. বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ২৯ এবং ৩০ এপ্রিল কলকাতায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনা দেবেন বলেছেন। ৩০ এপ্রিল রামনবমী পালন করে গোটা দেশ। ওই দিন তিনি ছুটি তো ঘোষণা করেনননি, বরং ধরনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন