পুরী: মহালয়ার আগের দিন পুরীতে (Puri) জগন্নাথদেবের ‘মহাস্নান’ হয়। তারপর দুপুরে বিশেষ ভোগ ‘মধ্যাহ্নধূপা’র রীতি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশেষ দিনে পুণ্যার্থীদেরও ঢল নামে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple) ভক্তদের ঢল নামে। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু, এই বিশেষ দিনে বিশেষ রীতি-রেওয়াজের সময়ই ঘটে গেল অঘটন! একেবারে গর্ভগৃহের মেঝেতে চাপ-চাপ রক্ত (Blood)। বলা ভাল, রক্তপাতের ঘটনা ঘটল গর্ভগৃহে। যার জেরে পুণ্যার্থীদের বিগ্রহ দর্শন বন্ধ রইল দীর্ঘক্ষণ। প্রায় দেড়ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেন পুণ্যার্থীরা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে শুক্রবারের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গর্ভগৃহে রক্তপাতের ঘটনা কোন অমঙ্গলের ইঙ্গিত? এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অনেকের মনে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে রক্তপাত কীভাবে?
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মহাস্নানের পর মধ্যাহ্নধূপার রীতির সময়ই ঘটে অঘটন। জগন্নাথদেবকে বিশেষ ভোগে কেক দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় গর্ভগৃহের এক কর্মী ভোগের বাক্স থেকে কেকের একটি টুকরো তুলে নেন। সেটা নিয়েই এক সেবায়েতের সঙ্গে এক কর্মীর বচসা বাধে। সেই বচসা থেকেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। সেই হাতাহাতিতেই রক্তাক্ত হন ওই কর্মী। তাঁর চাপ-চাপ রক্ত পড়ে গর্ভগৃহের মেঝেতেই।
সেবায়েত ও কর্মীর হাতাহাতি ও গর্ভগৃহে রক্তপাতের ঘটনার জেরে বিগ্রহ দর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর গর্ভগৃহের মেঝে পরিষ্কার করে, বিশেষ রীতি মেনে গর্ভগৃহ শুদ্ধ করার পর ফের পুণ্যার্থীদের বিগ্রহ দর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পুণ্যার্থীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অন্যদিকে, মন্দিরের সিংহদুয়ারের পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে পাকড়াও করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষও দেড় ঘণ্টা বিগ্রহ দর্শন বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করা হলেও গর্ভগৃহে রক্তপাত সম্পর্কে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবরও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতর মন্দিরের এক সেবায়েত এবং এক পুরোহিতের মধ্যে হাতাহাতি বাধে। পরস্পর পরস্পরকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে এবং দুজনের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় (খুনের চেষ্টা) মামলা দায়ের করা হয়।