Body Recovered From Blue Drum: ফের সেই নীল ড্রাম, ঢাকনা খুলতেই বেরিয়ে এল পচা-গলা দেহ! মুসকান ছায়া এবার পঞ্জাবেও?
Body Recovered From Blue Drum: খবর গেল পুলিশে। ছুটে এল স্থানীয় ৬ নম্বর ডিভিশন থানার পুলিশ। তারপর তুলে দেখা হল নীল ড্রাম। তাতে উঁকি মারতেই চক্ষু চড়কগাছ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ড্রামের মধ্যে থেকে হাত-পা অবস্থায় একটি প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।

অমৃতসর: প্রতিদিনের মতোই ঝলমলে ছিল বুধবারের সকালটা। হঠাৎ নাকে একটা অন্যরকম দুর্গন্ধ পান পঞ্জাবের লুধিয়ানার শেরপুর এলাকার বাসিন্দারা। সামনেই আবার একটা পরিত্যক্ত জমি। সবাই ভাবেন, কেউ হয়তো মৃত জীব-জন্তু ফেলে গিয়েছে। মনের সন্দেহেই সেই ফাঁকা জমির দিকে এগিয়ে যান কয়েকজন। তারপরই তাদের নজরে আসে একটা নীল ড্রাম।
এই নীল ড্রাম কিন্তু এখন আর সাধারণ নয়। সাম্প্রতিককালে মীরাটে হওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নীল ড্রাম হয়ে উঠেছে ভয়ের কারণ। স্বামী সৌরভকে খুন করে একটি নীল ড্রামেই দিনের পর দিন বন্দি করে রেখেছিলেন স্ত্রী মুসকান। যাতে গন্ধ না বের হয় কিংবা কাকপক্ষীতে টের না পায়, সেই কথা মাথায় রেখে তাতে আবার ঢেলে দিয়েছিলেন সিমেন্ট। এবার নীল ড্রামের ঝলক দেখল শেরপুর এলাকার বাসিন্দারা।
খবর গেল পুলিশে। ছুটে এল স্থানীয় ৬ নম্বর ডিভিশন থানার পুলিশ। তারপর তুলে দেখা হল নীল ড্রাম। তাতে উঁকি মারতেই চক্ষু চড়কগাছ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ড্রামের মধ্যে থেকে হাত-পা অবস্থায় একটি প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। তারপর তা পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। তবে নিহতের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নীল ড্রামের মধ্যে হাত-পা বেঁধে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে, তারপর সেটিকে বিছানার চাদর জড়ানো অবস্থায় দেহটিকে ফেলে রেখে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। ৬ নম্বর ডিভিশন থানার এক পুলিশ কর্তা কুলবন্ত কৌর জানিয়েছেন, ‘কিছু ব্যক্তি নীল ড্রামের মধ্যে কাপড়ের টুকরো বেরিয়ে থাকতে দেখেই সেটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করে। তখনই বেরিয়ে আসে দেহের একটা অংশ। তারপর দুর্গন্ধ ছড়াতেই খবর আসে আমাদের কাছে।’
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘ওই ব্যক্তিকে কমপক্ষে দু’দিন আগে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহটি পচতে শুরু করায়, গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে যায়। তারপরই মেলে হদিশ।’

