অম্বানীকাণ্ডে নয়া মোড়, কালো মার্সিডিজ় থেকে উদ্ধার নম্বরপ্লেট, লক্ষাধিক টাকা

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 17, 2021 | 12:14 PM

এনআইএ (NIA) যে কালো মার্সিডিজ় গাড়িটি আটক করেছে, তার মধ্যে থেকে নগদ টাকা ছাড়াও কেরোসিনের বোতল, একটি চেক শার্ট, টাকা গোনার মেশিনও উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, এি গাড়িটি চালাতেন ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে।

অম্বানীকাণ্ডে নয়া মোড়, কালো মার্সিডিজ় থেকে উদ্ধার নম্বরপ্লেট, লক্ষাধিক টাকা
আটক করা গাড়িটি। ছবি:ANI

Follow Us

মুম্বই: জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের মামলা। মঙ্গলবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা খোঁজ পায় একটি কালো মার্সিডিজ় গাড়ির, যার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক বোঝাই ওই স্করপিও গাড়িটির নম্বর প্লেট। এছাড়াও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা, কিছু জামাকাপড় ও একটি টাকা গোনার মেশিন।

তদন্তকারী আধিকারিক অনিল শুক্লা বলেন, “এনআইএ(NIA) একটি কালো মার্সিডিজ় গাড়ি আটক করেছে। সেখান থেকে স্করপিও গাড়িটির নম্বর প্লেট, পাঁচ লক্ষ টাকা সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজে় ওই গাড়িটি চালাতেন। গাড়ির মালিক কে, সেই সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ অম্বানীর মুম্বইয়ের বাড়ি “অ্যান্টিলিয়া”(Antilia)-র সামনে থেকেই একটি বিস্ফোরক বোঝাই স্করপিও গাড়ি উদ্ধার করা হয়। গাড়ির ভিতর থেকে একটি হুমকি চিঠিও উদ্ধার হয়। আশেপাশের অঞ্চলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মুম্বই পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন পিপিই কিট (PPE Kit) পরে একজন ওই গাড়ি থেকে নেমেছিলেন।

আরও পড়ুন: সংক্রমণে রাশ টানতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, বিশেষ নজর ৫ রাজ্যে

গাড়ি থেকে যে চেক শার্ট ও কেরোসিনের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, গ্রেফতার হওয়া পুলিশ অফিসার সচিন ভাজে়ই হয়তো পিপিই কিট পরে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে রেখেছিলেন। মার্সিডিজ় গাড়িতে যে কোরোসিনের বোতলটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি ব্যবহার করেই হয়তো তিনি পিপিই কিটটি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন।

রহস্য তৈরি হয়েছে গ্রেফতার হওয়া মুম্বই পুলিশের অফিসার সচিন ভাজ়ের ভূমিকা নিয়েও। উদ্ধার হওয়া স্করপিও গাড়ির মালিক মনসুখ হিরনকে জিজ্ঞাসাবাদের কয়েকদিন পরই তাঁর মৃতদেহ একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপরই মনসুখের স্ত্রী অভিযোগের আঙুল তোলেন তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, সচিন গত নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস অবধি ওই গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন। মনসুখের রহস্যমৃত্যুতেও হাত রয়েছে সচিনের।

এনআইএ মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাত থেকে তদন্তভার তুলে নেওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয় সচিন ভাজ়েকে। গতকাল তদন্তে জানা যায়, নিজের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজও সাফ করে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু ডিজিটাল তথ্য নষ্টের অভিযোগও উঠেছে সচিনের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার বিজেপি সাংসদের দেহ, মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা

Next Article