Body Massager: ‘বডি ম্যাসাজারকে সেক্স টয় হিসাবে গণ্য করা যায় না’, আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করল আদালত

Bombay High Court: বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশ কুলকার্নি ও বিচারপতি কিশোর সন্তের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, "এটা সম্পূর্ণভাবে কমিশনারের কল্পনা বা তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা যে এই বস্তু (বডি ম্যাসাজার) নিষিদ্ধ জিনিস।"

Body Massager: বডি ম্যাসাজারকে সেক্স টয় হিসাবে গণ্য করা যায় না, আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করল আদালত
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Facebook

|

Mar 22, 2024 | 9:29 AM

মুম্বই: বডি ম্যাসাজার সেক্স টয় নয়, এর আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ বাতিল করে দিল বম্বে হাই কোর্ট। কমিশনার অব কাস্টমস ডিপার্টমেন্টের তরফে বডি ম্যাসাজার আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, এই বস্তু অ্যাডাল্ট সেক্স টয় হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ বাতিল করে দেওয়া হয়। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, কোনও বস্তুর আনুমানিক ব্য়বহারের উপর ভিত্তি করে তার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় না।

বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশ কুলকার্নি ও বিচারপতি কিশোর সন্তের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “এটা সম্পূর্ণভাবে কমিশনারের কল্পনা বা তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা যে এই বস্তু (বডি ম্যাসাজার) নিষিদ্ধ জিনিস।”

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল কমিশনার অব কাস্টমস বিদেশ থেকে আমদানি করা বডি ম্যাসাজার বাজেয়াপ্ত করে। কাস্টমস বা রাজস্ব বিভাগের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বডি ম্যাসাজারটি অ্যাডাল্ট সেক্স টয় হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। এরপরই ওই বডি ম্যাসাজার যিনি কিনেছিলেন, তিনি সেন্ট্রাল এক্সাইজ অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হন। ট্রাইবুনালও কমিশনারের নির্দেশকে বাতিল করে এবং বডি ম্যাসাজারকে অ্যাডাল্ট সেক্স টয় হিসাবে কল্পনা করার জন্য তীব্র ভৎর্সনা করেন।

এরপরই কমিশনার অব কাস্টমস ট্রাইবুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করে। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফেও কমিশনারের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেওয়া হয় এবং বলা হয়, “বডি ম্যাসাজারের ব্যবহার কীভাবে হবে, তা নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে এবং স্পষ্টতই অত্যন্ত দূরদর্শী কল্পনা করা হয়েছে।”

বম্বে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, ম্যাসাজারের মতো মেশিনকে নিষিদ্ধ বই, প্যামফ্লেট বা ছবির সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কমিশনারের তরফেও পাল্টা জবাবে বলা হয়, বডি ম্যাসাজারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে যে এই মেশিন অন্য কী কী উদ্দেশে ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বেঞ্চের তরফে কমিশনের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলা হয়, “অন্য কোনও কাজে কোনও বস্তু ব্যবহার করা হতে পারে, শুধুমাত্র এর ভিত্তিতে কোনও জিনিসের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেতে পারে না।”