নয়াদিল্লি: জি২০ ‘ফরেন মিনিস্টার কনক্লেভ’ উপলক্ষে ভারতে এসেছে জি২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। চিনা বিদেশমন্ত্রীও এসেছেন নয়াদিল্লিতে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কিন গ্যাঙের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে তাঁর। সেই বৈঠকে সীমান্তে শান্তিভঙ্গের প্রসঙ্গ উত্থাপিত করা হয়েছিল ভারতের তরফে। কিন্তু সে ব্যাপারে কথা বলার উপযুক্ত জায়গা এই মঞ্চ নয় বলে জানাল চিন। পাল্টা ভারত জানিয়ে দিল ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক নয়’। নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানিয়েছেন বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর। তবে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুদেশই পদক্ষেপের ব্যাপারে সহমত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে চিনের বিদেশমন্ত্রী হয়েছেন কিন গ্যাং। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এটাই ছিল তাঁর প্রথম বৈঠক। সেই বৈঠকের চিনের বিদেশমন্ত্রীকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা নিয়ে অবহিত করলেন। প্রায় ৩৪ মাস ধরে লাদাখ এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অন্য এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে ভারত সাফ জানিয়েছে, চিনের সঙ্গে ভারতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। সীমান্তে শান্তি বজায় না রাখলে এই সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকবে না।
চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেছেন, “জি২০ ফ্রেমওয়ার্কের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বৈঠকের মূল সুর ছিল ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে। দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তিক্ততা এবং সীমান্ত সমস্যা নিয়েই চলেছে আলোচনা।” এই বৈঠকে কিন জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন, দুপক্ষেরই এই সমস্যা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত এবং সেই মতো পদক্ষেপ করা উচিত। যদিও জি২০ মঞ্চে এই নিয়ে আলোচনা করতে ততটা আগ্রহী নয় বলেই জানিয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে আলোচনা করা উচিত।”