নয়া দিল্লি: আবারও ভারত সফর বাতিল করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ ভারত সফরে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু করোনার ভয়ানক পরিস্থিতিতে সফর বাতিল করলেন তিনি। বিবৃতি দিয়ে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী সপ্তাহে ভারত সফরে যাবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বরিস জনসন দ্বিপাক্ষিক একাধিক বিষয় নিয়ে এই মাসে কথা বলবেন। তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগে থাকবেন। পাশাপাশি বিবৃতিতে এই বছরের শেষের দিকে মোদী ও বরিস জনসনের দেখা হওয়ার কথাও জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
কয়েক দিন আগেই বরিস জনসনের তরফে জানানো হয়েছিল, সফরে কাটছাঁট করছেন বরিস জনসন। তাঁর অফিস জানিয়েছিল, সম্পূর্ণ সফরের তথ্য পরে বিশদে জানানো হবে। তবে ২৬ এপ্রিলই সিংহভাগ মিটিং সারবেন বরিস জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, চুক্তি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বৈঠক হবে। কিন্তু সেই সফরই বাতিল হয়ে গেল।
এ বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে দিল্লির কুচকাওয়াজে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। কিন্তু সে দেশে করোনার নয়া ‘স্ট্রেনের’ বাড়বাড়ন্তের ফলে ভারত সফর বাতিল করেছিলেন বরিস। তবে তখনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই বছরের প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই ভারত সফরে আসবেন তিনি। কিন্তু করোনা কাঁটায় বাতিল হয়ে গেল সেই সফরও।
প্রসঙ্গত, জুন মাসে ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত হবে জি৭ সামিট। সেই বৈঠকে অতিথি হিসাবে ডাক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বিশ্বের একাধিক দেশ সামিল হবে এই সামিটে। মহামারী, জলবায়ু সমস্যা ও বিনা শুল্কে ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা হবে ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে। সেই বৈঠকেই অতিথি হিসাবে নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রনায়কও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে হিংসা, শপথ গ্রহণ বয়কট বিজেপির