Boy At Police Station: মায়ের ওপর রেগে তোয়ালে জড়িয়েই থানায় হাজির নাবালক, তাজ্জব পুলিশ…
Boy at Police Station: পুলিশ জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, ওই ছাত্রের মায়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও থানায় হাজির করেছিল পুলিশ।

অন্ধ্র প্রদেশ : গায়ে জামা নেই, তোয়ালে জড়িয়েই থানায় হাজির এক নাবালক। বছর দশেকের সেই ছেলেকে দেখে তাজ্জব পুলিশ অফিসারেরা। এভাবে কেন থানায় ছুটে এল ছেলেটি? জানতে তৎপর হয় পুলিশ। তবে অভিযোগ শুনে গুরুত্বটা বোঝা মুস্কিল ছিল। একটি বিশদে জানতেই বেরিয়ে এল আসল তথ্য। নাবালকের সৎ মা-কে ডেকে কড়া হুঁশিয়ারিও দেয় পুলিশ। অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরুর কোঠাপেটার ঘটনা।
এলুরুর বাসিন্দা ওই নাবালক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তার এক বন্ধুর জন্মদিন ছিল। সকাল সকাল স্নান সেরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। পছন্দের একটা সাদা শার্ট পরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল অনুষ্ঠানে। সৎ মা কে সেই শার্টটি দিতে বলে সে। কিন্তু তার মা নাকি সে কথা শোনেনি। এরপরই রাগ চড়ে যায় মাথায়।
সব ফেলে গায়ে তোয়ালে জড়িয়েই সে ছুটে যায় থানায়। সে অভিযোগ জানায়, তার মা তার পছন্দের শার্টটা দেয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, ওই ছাত্রের মায়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। বর্তমানে সে তার বাবা মল্লিকার্জুন রাও ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী লক্ষ্মীর সঙ্গে বাস করে। সব শুনে পুলিশ সৎ মা লক্ষ্মীকে ডেকে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মী থানায় এসে জানায়, তেমন কিছুই ঘটেনি। শার্টটা তাকে দিয়ে দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। নাবালকের মানসিক পরিস্থিতি দেখেই পুলিশ আরও বিশদে পুরো বিষয়টা জানার চেষ্টা করে। এরপর পুলিশ জানতে পারে, এটা একদিনের ঘটনা নয়। দিনের পর দিন ওই নাবালকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন লক্ষ্মী। গরম রড দিয়ে আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে আগে। এমনকী সৎ মায়ের অত্যাচারে ওই নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন পড়েছিল।
লক্ষ্মী যাতে এমন ব্যবহার আর না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছে পুলিশ। লিখিতভাবে সে কথা থানায় জানাতে হয়েছে লক্ষ্মীকে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও থানায় হাজির করেছিল পুলিশ।





