Delhi air pollution: দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেওয়া দিনে ১৪টা সিগারেট খাওয়ার সমান, বলছে রিপোর্ট
Worsening air quality in Delhi: দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চলছে। আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। সরকার নানা পদক্ষেপ করছে। কিন্তু, দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে উদ্বেগ কমছে না। কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত মন্তব্য করেছিলেন, দিল্লির বায়ুদূষণের ফলে হাঁটতে বেরিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।

নয়াদিল্লি: আপনি ধূমপায়ী নন। তারপরও দিনে ১৪টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হতে পারে আপনার শরীরে। ভাবছেন, এমন হয় নাকি। রিপোর্ট বলছে, এটাই সত্যি। যদি আপনি রাজধানী দিল্লিতে থাকেন, দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেন, তাহলে দিনে ১৪টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হচ্ছে আপনার শরীরের। দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে এমনই উদ্বেগজনক রিপোর্ট সামনে এসেছে।
দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চলছে। আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। সরকার নানা পদক্ষেপ করছে। কিন্তু, দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে উদ্বেগ কমছে না। কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত মন্তব্য করেছিলেন, দিল্লির বায়ুদূষণের ফলে হাঁটতে বেরিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেওয়া যে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, এক প্রতিবেদনে সেটাই তুলে ধরেছে AQI.IN। তাদের তথ্য অনুসারে, দিল্লিতে দূষিত বায়ুকণা পিএম ২.৫-র মাত্রা বেশ কয়েক দিন ধরে ৩০০ ug/m³-র কাছাকাছি রয়েছে। আন্তর্জাতিক মডেল অনুসারে, ২২ ug/m³ পিএম ২.৫-কে একটি সিগারেটের সমতুল্য বিবেচনা করা হয়। সেই হিসেবে ধূমপান না করেও দিল্লির বাসিন্দাদের প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হচ্ছে।
মুম্বইয়ে সামুদ্রিক আবহাওয়ার কারণ বায়ুর গুণগত মান দিল্লির চেয়ে সামান্য ভাল। সেখানে পিএম ২.৫-র মাত্রা প্রতি কিউবিক মিটারে ৮০ থেকে ৯০ মাইক্রোগ্রাম রয়েছে। যা দিনে ৪টি সিগারেটের সমান। বেঙ্গালুরুতে পিএম ২.৫-র গড় প্রতি কিউবিক মিটারে ৫০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ দিনে ২ থেকে ৩টে সিগারেট খাওয়ার সমান। এই তিনটি শহরের চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভাল চেন্নাইয়ের। সেখানে প্রতি কিউবিক মিটারে পিএম ২.৫ রয়েছে ৪০ মাইক্রোগ্রাম। যা দিনে দুটি সিগারেট খাওয়ার সমান। AQI.IN এর এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা বার্কলে আর্থের আন্তর্জাতিক মান ব্যবহার করি। আমাদের লক্ষ্য মানুষকে ভয় দেখানো নয়। বরং তাঁদের বোঝানো যে দূষণ কতটা গুরুতর বিষয়। বায়ুদূষণ রুখতে পদক্ষেপ করতে মানুষকে উৎসাহিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
