একই পরিবারে ভাই বিয়ে করছে বোনকে। আবার কোথাও কাকা নাকি বিয়ে করছে তার ভাইঝিকে। এই দেখেই চক্ষু চরক গাছ উত্তর প্রদেশের সরকারি আধিকারিকদের। বিষয়টা কী?
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা ব্যাক্তিদের বিবাহের জন্য বিশেষ প্রকল্প রয়েছে উত্তর প্রদেশে। মুখ্যমন্ত্রী সম্যুক বিবাহ যোজনার অধীনে বিয়ের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা পান দম্পতি। বিয়ে করার জন্য কনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারের তরফ থেকে ৩৫ হাজার টাকা জমা পড়ে। এছাড়াও বিয়ের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য আরও ১০ হাজার টাকা এবং অনান্য খরচের জন্য ৬ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। সেই টাকা পাওয়ার জন্যই এই বিয়ের আয়োজন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এই বছর মোরাদাবাদে মোট ৩,৪৫১ বিয়ে করার জন্য সরকারের থেকে সাহায্য পাচ্ছেন। এই প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যেই সাহায্য চেয়ে ৮,৫১৯টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। এর পরেই সরকারের তরফে আবেদন পত্রগুলি খুঁটিয়ে দেখা শুরু হয়। প্রাথমিক স্তরের তদন্তেই অনেকগুলি জালয়াতির ঘটনা নজরে এসেছে।
মোরাদাবাদের ভাই-বোন এবং কাকা-ভাইঝির ঘটনাটি সামনে আসতেই বিশদে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এসডিএম বেদ সিং চৌহান। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিবিধ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর এক পুর কর্মী ভুয়ো বিয়ের আয়োজনও করে দেয়।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশেই সিকান্দ্রারাওতে আরও এক যুগল অনৈতিক ভাবে প্রকল্পের টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। একবার বিয়ে করার পরেও কেবল টাকা পাওয়ার লোভে পুনরায় বিয়ে করতে যায় সেই দম্পতি। যদিও সেই ঘটনাও সরকারি আধিকারিকদের তৎপরতায় ধরা পড়েছে।