নয়াদিল্লি: বিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাওকে এবার একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি (G Kishan Reddy)। বিআরএস শিবিরের কিছু নেতা নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করতেই কয়লা খনি বণ্টন নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তাঁর বক্তব্য়, ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত তেলঙ্গানা, ওড়িশা ও রাজস্থানকে সরাসরি কোল ব্লক বণ্টন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালের জুন মাসের পর থেকে কোনও রাজ্য সরাসরি কোল ব্লক পায়নি, কারণ এক্ষেত্রে নিলাম হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তেলঙ্গানার তথ্যপ্রযুক্তি ও শিল্পমন্ত্রী কে টি রামা রাও একটি অভিযোগ তুলেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল লিগনাইট ব্লক বণ্টনের ক্ষেত্রে গুজরাটকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির পাল্টা বক্তব্য়,কয়লা খনির নিলামেও স্বচ্ছতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, ২০২০ সালের ১৮ জুন ‘কমার্শিয়াল মাইনিং’ শুরু করার পর থেকে নিলামের ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে স্বচ্ছ’ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে। কয়লা ও লিগনাইট বিক্রির জন্য যাবতীয় কয়লা ও লিগনাইট ব্লক বণ্টন একটি নির্দিষ্ট নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
শনিবার প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে জি কিষাণ রেড্ডি জানান, ২০১৫ সালে ভারকানদম লিগনাটই এবং পানানধ্রো এক্সটেনসন লিগনাইট- এই দুটি লিগনাইট ব্লক দেওয়া হয়েছিল গুজরাট মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডকে। অন্যদিকে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তেলাঙ্গানার পেঙ্গাডাপ্পা এবং ওড়িশার নৈনী এবং নিউ পাত্রপারা – এই তিনটি কয়লার ব্লক দেওয়া হয়েছিল সিঙ্গরেনি কোলিয়ারিস কোম্পানি লিমিটেডকে। এই সংস্থাটিকে চালায় তেলঙ্গানা সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, এই তিনটি কয়লা ব্লকের মধ্যে পেঙ্গডাপ্পা এবং নিউ পাত্রপারা ব্লকদুটি সংস্থার তরফে সারেন্ডার করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়ার পরেও ২০১৫ সালে নেওয়া নৈনী কয়লা ব্লকটি রাজ্য সরকার ব্যবহার করেনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিরক্তির সুরে জানিয়েছেন, বিআরএস-এর কোনও কোনও নেতা আসল তথ্য না জেনেই অভিযোগ করেছেন, যে গুজরাটের রাজ্য পরিচালিত সংস্থাগুলিতে কয়লা বণ্টনের ক্ষেত্রে নাকি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে আর অন্যদিকে তেলঙ্গানার সরকার চালিত সংস্থাগুলিকে নাকি নিলামে অংশ নিতে হচ্ছে। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই নতুন পদ্ধতির মধ্যে কোথায় পক্ষপাতিত্ব পাওয়া যায় তা বিআরএস-এর নেতাদের স্পষ্ট করা উচিত। কয়লার ব্লকের জন্য সকলকেই নিলামে অংশ নিতে হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রীর দাবি, “BRS-এর নেতারা কয়লা খনি বণ্টন নিয়ে নির্লজ্জের মতো মিথ্যা প্রচার করছেন, কারণ তাদের সরাসরি বিজেপির মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই। তার উপর, বিআরএস-এর নেতারা তাঁদের নিজেদের কেলেঙ্কারি লুকাতে চান। কারণ, জেনকোর সঙ্গে এএমআর নামে একটি বেসরকারি সংস্থার ২৫ বছরের কয়লা খনন এবং সরবরাহের চুক্তি করার সিদ্ধান্তটি ছিল কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের।”