Supreme Court on CAA: CAA-তে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রকে নোটিস শীর্ষ আদালতের

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 19, 2024 | 3:57 PM

Supreme Court on CAA: আগামী ৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে যে কোনও আবেদনকারী আদালতের নজরে আনতে পারেন বিষয়টি। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

Supreme Court on CAA: CAA-তে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রকে নোটিস শীর্ষ আদালতের
সুপ্রিম কোর্টে সিএএ মামলা
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কার্যকর হওয়ার পর আইনের বিরোধিতা করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। আপাতত ওই আইনে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। তবে, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস ইস্যু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। অন্যদিকে, আবেদনকারীদের ২ এপ্রিলের মধ্যে ৫ পাতার সংক্ষিপ্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।

আগামী ৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে যে কোনও আবেদনকারী আদালতের নজরে আনতে পারেন বিষয়টি। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল শুনানি। মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে ২০টি ক্ষেত্রেই সিএএ-র ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। অসম সংক্রান্ত মামলা আলাদাভাবে শোনা হবে বলে এদিন জানান প্রধান বিচারপতি।

২৩৭টি আবেদনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা জমা দেবে। তার জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। কিন্তু, আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘চার সপ্তাহের মধ্যে যদি কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে যায়, তাহলে তা ফেরানো কঠিন হবে।’ এরপরই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ৯ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হচ্ছে, তার মধ্যেই হলফনামা দিতে হবে কেন্দ্রকে।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন আদালতে আরও উল্লেখ করেন, সিএএ কার্যকর করে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না, যাঁরা শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

সংসদে আইন পাশ হওয়ার পর চার বছর পর গত ১১ মার্চ দেশ জুড়ে নতুন আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে আগে ভারতে শরণার্থী হিসেবে এসেছেন এমন মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে, নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হল, মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্ম যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ধর্মের মানুষ হতে হবে। ভারতের প্রতিবেশী তিন দেশ- বাংলাদেশ, পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের জন্যই এই আইন প্রযোজ্য।