নয়াদিল্লি: আরও শক্তিবৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর। ২০০টি ব্রহ্মস মিসাইল নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে অনুমোদন দিল ক্যাবিনেট কমিটি। দীর্ঘপাল্লার এই সুপারসনিক মিসাইল ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে অন্তর্ভুক্ত হলে শক্তি এক ধাপে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে মত সমর বিশেষজ্ঞদের। কারণ এই বহ্মস সুপারসনিক মিসাইল সাবমেরিন, জাহাজ, যুদ্ধবিমান এবং স্থলভাগ থেকেও উৎক্ষেপণ করা যায়। বিবিধ ক্ষমতার জন্যই এই মিসাইল ব্যবহারিক প্রয়োগও অনেক বেশি। ১৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই মিসাইল নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হবে। ২০০ মিসাইল তৈরির জন্য মার্চের শুরু দিকেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হবে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
অ্যান্টিশিপ অপারেশনের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীতে ব্রহ্মসের অন্তর্ভুক্তি হবে। এই মিসাইল নিখুঁত হামলায় পটু। অন্যান্য দেশও এই মিসাইল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফিলিপিন্স এই অস্ত্র কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। সব ঠিক থাকলে ফিলিপিন্সই হবে ব্রহ্মসের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রেতা। ফিলিপিন্সের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ব্রহ্মসের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।
ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় ব্রহ্মস এরোস্পেস। তারা তৈরি করে ব্রহ্মস। ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষমাত্রা অনুযায়ী মিসাইল তৈরি সম্ভব হবে বলে জানা গিয়েছে। ৫০০ কোটি ডলারের ব্রহ্মস মিসাইল বিদেশে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রয়েছে। নৌবাহিনীতে বিপুল সংখ্যায় তা মোতায়েন করা হলে ভারত মহাসাগরে নৌবাহিনীর দাপট অন্য মাত্রা পাবে। ভারত মহাসাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় চিনকে মোকাবিলা করতে নৌবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করছে ভারত। ব্রহ্মসের অন্তর্ভুক্তি সেই কাজকে কয়েক কদম এগিয়ে দেবে।