Calcutta High Court: এবার রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, স্বস্তিতে নবান্ন!

Calcutta High Court: শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ৯৫৩৩ জন চাকরিতে যোগ দিলেও বাকি ২২৩২টি পদে নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন কারা, সেই বিতর্ক থেকেই নতুন মামলা হয়।

Calcutta High Court: এবার রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, স্বস্তিতে নবান্ন!
সুপ্রিম কোর্টImage Credit source: PTI

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 04, 2025 | 5:39 PM

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্য়ের ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। আর শুক্রবার এ রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২২ সালের নিয়োগে কাদের অংশগ্রহণ বৈধ, তা নিয়েই একটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ায় সেই মামলা। শুক্রবার রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নরসিংহ ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

২০২২ সালে রাজ্যে প্রাথমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএলএড প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ডিএলএড কোর্সে যাঁরা প্রশিক্ষণরত তথা প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

সেই মামলায় হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ পর্ষদের সিদ্ধান্তেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন। পরে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। ডিভিশন জানায়, পাঠরত বা প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। পাঠ বা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ৯৫৩৩ জন চাকরিতে যোগ দিলেও বাকি ২২৩২টি পদে নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন কারা, সেই বিতর্ক থেকেই নতুন মামলা হয়। সেই মামলার রায়ে এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় মামলাকারীরা নিয়োগ পাবেন। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল, ২০২২ সালে প্রাথমিক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন ডিএলএড কোর্সে প্রশিক্ষণরত প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরাও।

প্রায় ৯৬০ জন মামলাকারীর ইতিমধ্যেই নিয়োগের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আদৌ নিয়োগের যোগ্য কি না, তা রায়ের উপর নির্ভর করছিল। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল,তাদের নিয়োগ করা যাবে।