Mixing hairs into food: খাবারে চুল, রেগে লাল খদ্দের, সিসিটিভি খতিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ
Mixing hairs into food: রাজকোটের ওই রেস্তোরাঁয় খেতে যান তিন যুবক। খাবার অর্ডার করেন। রেস্তোরাঁর কর্মীরা খাবার দিয়ে গেলে খোশমেজাজে খেতে দেখা যায় তিন যুবককে। তারপরই ঘটল ঘটনাটি।

রাজকোট: রেস্তোরাঁতে খাবারে চুল থাকলে কী হবে? অনেক সময়ই দেখা যায়, খাবার বদলে দেন কর্মীরা। কখনও ক্ষমাও চান রেস্তোরাঁর মালিক। কিন্তু, খাবারে চুল নিয়ে এমন কাণ্ড যে ঘটবে, তা বোধহয় ভাবেনননি গুজরাটের রাজকোটের একটি রেস্তোরাঁর মালিক। খাবারে চুল থাকায় প্রথমে চিৎকার করলেন খদ্দেররা। তারপর রেস্তোরাঁর সিসিটিভি খতিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ মালিকের। কী দেখা গেল?
রাজকোটের ওই রেস্তোরাঁয় খেতে যান তিন যুবক। খাবার অর্ডার করেন। রেস্তোরাঁর কর্মীরা খাবার দিয়ে গেলে খোশমেজাজে খেতে দেখা যায় তিন যুবককে। তারপরই ঘটল ঘটনাটি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিন যুবক এদিক ওদিক তাকালেন। কোথাও কেউ রয়েছেন কি না দেখে নিলেন। তারপর দুই যুবক মাথার চুল ছিঁড়ে খাবারের প্লেটে দিয়ে দিলেন।
কয়েক মুহূর্ত পরে রেস্তোরাঁর এক কর্মী তাঁদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকে ধরে চিৎকার শুরু করেন তিন যুবক। রেস্তোরাঁর মালিককে গালিগালাজ করেন। এমনকি, রেস্তোরাঁ মালিককে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন বলেও অভিযোগ।
বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরও এক যুবক দাবি করতে থাকেন, ওই চুল তাঁদের নয়। নিজেদের ভুল স্বীকার না করে তিনি বলেন, চুলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। রেস্তোরাঁর পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। শেষমেশ অবশ্য তাঁদের সব ফন্দি ধরা পড়ে যায়। জানা যায়, রেস্তোরাঁর বিল যাতে দিতে না হয়, সেজন্য এমন কাজ করেছিল। তবে রেস্তোরাঁর মালিক তাঁদের কাছ থেকে খাবারের দাম নিয়েছেন কি না, জানা যায়নি।

