নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নীচে নামলেও কয়েকটি রাজ্য বাড়াচ্ছে চিন্তা। কারণ সেখানে এখনও লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। সেই কারণেই কেন্দ্রের তরফে তড়িঘড়ি ছয় রাজ্যে পাঠানো হল জনস্বাস্থ্য আধিকারিকদের দল (Public Health Team)।
সম্প্রতি ফের একবার কেরল, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় ও মণিপুরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে করোনা মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা পরিদর্শন করতেই ওই কেন্দ্রীয় জনস্বাস্থ্য আধিকারিকদের দল গিয়েছে বলে জানানো হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে।
যেখানে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী, সেখানেই কেন এই নির্দিষ্ট ছটি রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা জানতেই রাজ্যগুলিতে হাজির হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের দল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারগুলি কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে এবং তাদের করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি অভিযানকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, তা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে ওই দল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজ্যগুলিতে করোনা পরীক্ষার হার, কন্টেনমেন্ট জ়োন চিহ্নিতকরণ, করোনাবিধি অনুসরণ ইত্যাদি বিষয়গুলি যেমন খতিয়ে দেখা হবে, তেমনই করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যা, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, তাও যাচাই করে দেখা হবে।
মণিপুরে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দলকে নেতৃত্ব দেবেন ইএমআরের ডিরেক্টর ডঃ এল স্বস্তিচরণ, অরুণাচল প্রদেশে ডঃ সঞ্জয় সাধুখানের নেতৃত্বে, ত্রিপুরাতে ডঃ আরএন সিনহা, কেরলে ডঃ রুচি জৈন, ওড়িশাতে ডঃ এ ড্যান এবং ছত্তীসগঢ়ে ডঃ দিবাকর সাহুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় দল করোনা পরিস্থিতির খতিয়ান নেবেন।
আরও পড়ুন: পাত্তা দেন না আধিকারিকরা, সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরলেন নীতীশ ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীই!