দেশের ৫১তম ব্যাঘ্র প্রকল্পে স্বীকৃতি কেন্দ্রের, অবসান ৬ বছরের অপেক্ষার

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Feb 08, 2021 | 10:27 PM

১ লক্ষ হেক্টরের বেশি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই বিরাট এলাকায় ৬৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী এবং ৩২৩ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়।

দেশের ৫১তম ব্যাঘ্র প্রকল্পে স্বীকৃতি কেন্দ্রের, অবসান ৬ বছরের অপেক্ষার
প্রতীকী ছবি

Follow Us

চেন্নাই: দীর্ঘ আলোচনার পর তামিলনাড়ুর শ্রীভিল্লিপুথুর ও মেঘমালাই অভয়ারণ্যকে ব্যাঘ্র প্রকল্প (Tiger Reserve) হিসেবে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১ লক্ষ হেক্টরের বেশি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই বিরাট এলাকায় ৬৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী এবং ৩২৩ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। কেন্দ্রের এই স্বীকৃতির ফলে এটি দেশের ৫১ তম ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত হবে।

প্রায় কয়েক বছর যাবত আলোচনার পর গত বুধবার জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ পর্ষদ তামিলনাড়ু সরকারকে এই তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে দেশের ৫০ তম ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসেবে অরুণাচল প্রদেশের কামলংকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রায় ৬ বছর পর নতুন করে কোনও অভয়ারণ্যকে ব্যাঘ্র প্রকল্পের অর্ন্তভূক্ত করা হল।

তামিলনাড়ুর থেনি এবং মাদুরাই জেলার মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে মেঘমালাই অরণ্যভূম। অন্যদিকে শ্রীভিল্লিপুথুর জঙ্গলের অবস্থান কেরল সীমান্তবর্তী পেরিয়ার ব্যাঘ্র প্রকল্পের সন্নিকটে। গত সাত বছর যাবত তামিলনাড়ুর এই অভয়ারণ্যকে ব্যাঘ্র প্রকল্পের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছে সেখানকার রাজ্য সরকার। অবশেষে যা পূরণ হল।

এই দাবি আরও পোক্ত হয়ে ওঠে যখন ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৮ সালের অগস্টের মধ্যে বাঘের বিষ্ঠার ১১৮টি নমুনা নিয়ে গবেষণা চালানোর পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই এলাকায় কমপক্ষে ১৪ টি বাঘ রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি পুরুষ ও বাকি ১১ টি মহিলা। বাঘ বাদেও এই বিরাট অভয়ারণ্যে বিরল প্রজাতি হরিণ, বুনো শুয়োর, চিতাবাঘ, বন বেড়ালের হদিশ মেলে।

আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাননীয়াকে ‘মিথ্যাশ্রী’ পুরস্কার দেব: শুভেন্দু

কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নতুন দিশা পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে তামিলনাড়ুর আরও চারটি অভয়ারণ্যকে ব্যাঘ্র প্রকল্পের অর্ন্তভূক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ তামিলনাড়ুর শেষ অভয়ারণ্য সত্যমঙ্গলকে চিহ্নিত করা হয়।

আরও পড়ুন: এমন ভাবে ফিরে আসব, ভাবতে পারবেন না, সব জবাব পেয়ে যাবেন: ‘আত্মপ্রত্যয়ী’ মমতা

Next Article