AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাননীয়াকে ‘মিথ্যাশ্রী’ পুরস্কার দেব: শুভেন্দু

“নিজের বুদ্ধি ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে বুদ্ধি ভাড়া করেছেন।"

বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাননীয়াকে 'মিথ্যাশ্রী' পুরস্কার দেব: শুভেন্দু
ছবি - TV9 Bangla
| Updated on: Feb 08, 2021 | 7:12 PM
Share

হেস্টিংস: বিধানসভায় ‘শেষ’ দিন। হাসিমুখে ছবি তুলে বেরিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যাওয়ার আগে প্রত্যয়ী কণ্ঠে বলে গেলেন, ‘আমিই ফিরব’। ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫ কিলোমিটার বৃত্তে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন নেত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার প্রত্যয়ী বাণীকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে এ দিনের হেস্টিংসের সভায় শুভেন্দু বলেন, “ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারী, বিশ্বজিৎ দাস কিংবা সুনীল সিংয়ের হাতে আর ভোট নেই। সব চলে গিয়েছে বিজেপির দিকে, পরিবর্তনের দিকে। যে পদ্মফুল নিয়ে দাঁড়াবে মানুষ তাঁকেই ভোট দেবে।”

আরও পড়ুন: দেশের কৃষকদের বছরে আয় ৮৬ হাজার টাকা, বাংলায় কত? প্রশ্ন দিলীপের

এখানেই শেষ নয়। এ দিন সন্ধ্যায় দলীয় সভা থেকে সুর আরও চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি বিজেপি পার্টির সর্বোচ্চ নেতাদের বলেছি, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দুটো পুরস্কার তাঁদের দিতেই হবে। একটা মিথ্যাশ্রী, যা পাবেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর একটা হল তোলাশ্রী, যা পাবেন তাঁর ভাইপো।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ করার পাশাপাশি ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকেও নিজের বাক্যবাণের নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “নিজের বুদ্ধি ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে বুদ্ধি ভাড়া করেছেন। দুয়ারে সরকারের ফর্ম ফিলাপ করে পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের নম্বর জোগাড় করছেন। তাঁরা আরও ১২০০ ছেলে নামিয়েছেন। ভোটের আগে ওই নম্বরগুলোয় ফোন যাবে।”

আরও পড়ুন: ক্লাবগুলিকে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে মমতা বললেন ‘ওরাই বিপদে-আপদে পাশে থাকে’

আরও একধাপ এগিয়ে এ দিন তৃণমূলের গঠনতন্ত্র নিয়েও ঝাঁঝাল আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি এবং তৃণমূলের ফারাক বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলের অন্তত ১০০০ মিংটিয়ে গিয়েছি। ওই মিটিংয়ে মাননীয়া একাই বলতেন। আর আমরা ছিলাম কেবল শ্রমিক। শুধুই ইয়েস ম্যাম, ইয়েস ম্যাম আর ইয়েস ম্যাম করতে হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে এটাই তৃণমূলের ফারাক। বিজেপিতে কেউ একজন কথা বলেন না, সবাইকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। মিটিংয়ের পরই সিদ্ধান্ত হয়।”