AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ক্লাবগুলিকে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে মমতা বললেন ‘ওরাই বিপদে-আপদে পাশে থাকে’

৯৪৮টি স্পোর্টস কোচিং ক্যাম্পকে ১ লক্ষ টাকা ও রাজ্যস্তরে ৩৪টি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা

ক্লাবগুলিকে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে মমতা বললেন 'ওরাই বিপদে-আপদে পাশে থাকে'
ছবি- টুইটার
| Updated on: Feb 08, 2021 | 5:15 PM
Share

কলকাতা: হলদিয়ার সরকারি সভা থেকে রবিবার ফুটবলের ভাষায় তৃণমূলের ‘ফাউল’ গুনিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে বাংলার ক্রীড়াবিদদের সম্মানিত করে পালটা আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘খেলাশ্রী’ মঞ্চ থেকে কৃতীদের ‘খেল সম্মান’, ‘বাংলার গৌরব’, ‘ক্রীড়া গুরু’ ও ‘জীবনকৃতী’ সম্মানে ভূষিত করলেন তিনি। অতীতে ক্লাব অনুদান নিয়ে বিরোধীরা ‘খয়রাতির’ অভিযোগ তুললেও এ দিন ৮,২৮৯টি ক্লাবকে ৮২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে নিয়ে বিরোধীদের দু’কথা শুনিয়েও দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, “ক্লাবগুলোকে সাহায্য করলে তোমাদের রাগ করার তো কারণ থাকতে পারে না। এগুলো তো এলাকার ক্লাব। যারা মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকে। এই ক্লাবগুলো কখনও একটা ক্যারাম খেলে। কখনও একটু ফুটবল খেলে। কখনও একটা রক্তদান অনুষ্ঠান করে।” আজকের অনুষ্ঠান থেকে ৯৪৮টি স্পোর্টস কোচিং ক্যাম্পকে ১ লক্ষ টাকা ও রাজ্যস্তরে ৩৪টি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা।

কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের প্রশ্নে ব্যাকফুটে থাকা শাসকদল গত লোকসভা ভোটে সজোরে ধাক্কা খেয়েছিল জঙ্গলমহলে। আজ সেই জঙ্গলমহলে বিরাট শিল্পানয় ও যুবক-যুবতীদের চাকরির স্বপ্ন ফেরি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ও নতুন জঙ্গলমহল শিল্পনগরীতে প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব করা হল। আজকে ৭২ হাজার কোটির প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে ক্লাব ও মহৎ জগতকে সাক্ষ্মী রেখে। এখানে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।” আজকের মঞ্চ থেকে কৃতী ফুটবলার ও সফল ক্রীড়াবিদদের চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। এমনকি, প্রাক্তন খেলোয়াড়দের ১ হাজার টাকা করে সাম্মানিক অর্থ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘আন্দোলন থেকে আন্দোলনে লাফ দেওয়াই কাজ ওদের’, প্রধানমন্ত্রীর মুখে নতুন শব্দ ‘আন্দোলনজীবী’

সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণের পথে হাঁটেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে শ্লেষের সুরে বলেছেন, “করোনার সময় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব দেশে বেড়েছে। সেই সময় আমরা বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমিয়ে দিয়েছি। এটা আমাদের নয় কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য।” সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ মিশ্রিত সংযোজন, “যারা এখানে এসে তোতাপাখির মতো মিথ্যে বুলি বলেন, তাঁদের এগুলো জানা উচিত।”

গতকাল সরকারি মঞ্চ থেকে জনগণ তৃণমূলকে ‘রাম-কার্ড’ দেখাবে বলতে শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। সেই আক্রমণ ফিরিয়ে দিয়ে মমতা এদিন বলেছেন, “ফুটবলটা যখন মারে, সে ধর্ম বোঝে না। তখন জিজ্ঞেস করে না তুমি হিন্দু না মুসলমান। আবার ক্রিকেটটাও সব রাজ্যের ছেলেমেয়েরা ভারত নামক ছাতার তলায় খেলে।” মমতার কথায়, “খেলাধুলাটা এমন একটা ছাতা যার মাথাটা খুব বড়। যারা ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে যায় তার থেকেও বেশি ভাল যুদ্ধ খেলোয়াড়রা করতে পারে।”

আরও পড়ুন: কুকুর মুখে করে এনে দরজার সামনে ফেলে, সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের দেহে ছিল না মুণ্ড!