নয়া দিল্লি: উপত্যকায় লাগাতার জঙ্গিহানায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। কাশ্মীর থেকে সংখ্যালঘু মানুষদের সম্পূর্ণরপে স্থানান্তরিত করা সম্ভব নয় বলেই তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে উপত্যকায় সাধারণ মানুষদের নিশানা করে হত্যা ও হিংসা ছড়িয়ে পড়ার জন্য পাকিস্তানকেই দোষারোপ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উপত্যকায় জঙ্গিহানায় একের পর এক সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। গতকালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে নিয়ে ফের একবার জরুরি বৈঠকে বসেন। ডেকে পাঠানো হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাকেও। নর্থ ব্লকে দফায় দফায় হওয়া ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে উপত্যকায় অশান্তির জন্য পাকিস্তানকেই দোষারোপ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় শীর্ষ আধিকারিক জানান, গতকালের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে যে কাশ্মীরে হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও তা জিহাদে পরিণত হয়নি। বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই অশান্তি ছড়াচ্ছে। এদের শীর্ষকর্তারা সীমান্তের ওপার থেকেই যাবতীয় নির্দেশ ও নজরদারি চালাচ্ছে।
সরকারি সূত্রে খবর, কাশ্মীরে তালিবান জঙ্গি সংগঠনের কোনও উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি বলেই জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল, ২০২১ সালের অগস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরই তালিবানকে নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছিল। সেই সময়ই গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছিল যে, পাকিস্তানের পথ ধরে উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে পারে তালিবানরা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার নর্থ ব্লকে মোট তিন দফায় বৈঠক হয়েছে। প্রথম দফায় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অরবিন্দ কুমার, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (RAW) প্রধান সামন্ত গোয়েল, জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর থেকে পুরোপুরি স্থানান্তরিত করা হবে না। বরং তাঁদের নিরাপদ কোনও আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অমরনাথ যাত্রার সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।