
নয়া দিল্লি: শয়ে শয়ে ইন্ডিগোর বিমান বাতিল। কেন্দ্রের তরফে নিয়মে ছাড় দিলেও, ইন্ডিগোর (IndiGo Flight Disruption) উড়ান পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আর এই সুযোগেই বিশাল দর হাঁকাচ্ছে অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলি। একপিঠের টিকিট ভাড়া যেখানে ৫-৬ হাজার টাকা থাকে সাধারণ দিনে, সেটাই এখন পৌঁছেছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজারে। এয়ারলাইন্সগুলির এই সুযোগ সন্ধানী মনোভাবের সমালোচনা করে কেন্দ্রের তরফে বিমানের টিকিট ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনের নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরই চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ভেঙে পড়ে ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবা। প্রতিদিনই ৩০০ থেকে ৫০০ বিমান বাতিল হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়েই যাত্রীরা অন্য এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটতে বাধ্য হন। আর সেখানেই সুযোগ নিতে শুরু করে অন্যান্য এয়ারলাইন্স। সাধারণ দিনের দামের তুলনায় চার গুণ বেশি দাম হাঁকছে উড়ান সংস্থাগুলি।
দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের নন-স্টপ বিমানের ভাড়া ৬৫ হাজারে পৌঁছেছে। ওয়ান স্টপ বিমানের ভাড়া ৩৮ হাজার থেকে ৪৮-৪৯ হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কলকাতা থেকে মুম্বইয়ের ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া আজই দেখিয়েছে ৯০ হাজার টাকা। বেঙ্গালুরু থেকে নয়া দিল্লির ভাড়াও চাওয়া হচ্ছে ৮৮ হাজার টাকা। যাত্রীদের কাছ থেকে অত্যাধিক ভাড়ার অভিযোগ পেয়েই অবশেষে পদক্ষেপ করল অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রক।
কেন্দ্রের তরফে সমস্ত এয়ারলাইন্সকে নির্দিষ্ট ভাড়া নিতেই বলা হয়েছে। তাদের এই হঠাৎ দাম বাড়িয়ে দেওয়াকে ‘সুযোগসন্ধানী মূল্যবৃদ্ধি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে এয়ারলাইন্সগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যদি কোনও এয়ারলাইন্স মূল্যবৃদ্ধি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অসামরিক উড়ান মন্ত্রক লক্ষ্য করেছে যে বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে কিছু এয়ারলাইন্স অতিরিক্ত বিমান ভাড়া নিচ্ছে। সমস্ত এয়ারলাইন্সকে নির্দিষ্ট ভাড়া মেনেই দাম ধার্য করতে বলা হয়েছে।